নিজস্ব প্রতিনিধি,যশোর: পদ্মাসেতু দিয়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা যাওয়ার দাবিতে যশোর রেলওয়ে জংশনে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দিয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
দেড়ঘণ্টাব্যাপি অবরোধের পর যশোরের জেলা প্রশাসকের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবন্দ।
তবে দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
দ্রুতই পদ্মবিলা জংশন-নড়াইল-ভাঙ্গা হয়ে ঢাকায় রেল চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। গত ২৪ নভেম্বর ঢাকা-নড়াইল-খুলনা রুটে পরীক্ষামূলক রেল চলাচল করেছে। কিন্তু যশোরে এখনও এ ধরণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ফলে নতুন এই রুটে যশোর থেকে কখন, কিভাবে এবং ক’টি ট্রেন চলাচল করবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।বেনাপোল-নড়াইল-ঢাকা রুটে দু’টি ট্রেনসহ ছয় দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর জংশনে রেল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি। দুপুর একটার আগেই কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধি ও কয়েকশ’ সাধারণ মানুষ রেললাইনে অবস্থান নেন। পদ্মাসেতুর রেলপ্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তির ন্যায্য দাবিতে তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে শুরু করেন।
বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি’র যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু’র সভাপতিত্বে অবরোধ সমাবেশে বক্তব্য দেন, কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুর রহমান হিরু, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সংস্কৃতিজন হারুন অর রশিদ, তসলিমুর রহমান, অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু, যশোর শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু প্রমুখ।
দুপুর একটায় রেল অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর দুপুর পৌনে দুইটায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি জংশনের আউটার সিগন্যালে আটকা পড়ে। এরপর অবরোধের খবর পেয়ে রেল জংশনে ছুটে আসেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।
তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যশোরের মানুষ রেলের ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন করে চলেছে। তিনি এইসব দাবি-দাওয়া মন্ত্রিপরিষদ এবং রেল মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন। এই রেল অবরোধ কর্মসূচি এবং ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে তিনি আবারও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। এ সময় তিনি যাত্রী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। জেলা প্রশাসকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।