সোনালী ধান গাছে কারেন্ট পোকার আক্রমণে চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন যশোরের অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়াও ঝিকরগাছার কৃষকেরা ৷ সবুজ ধানগাছে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করে নষ্ট করে দিচ্ছে শত শত বিঘার ধান। পোকা দমনে কৃষকরা কীটনাশক স্প্রে করছে।পোকাটির আক্ষরিক নাম বাদামি গাছ ফড়িং। কৃষকের ভাষায় ‘ধানের কারেন্ট পোকা’। বিদ্যুতের মতো স্পর্শ করলেই সর্বনাশ, এমন ধারণা থেকে পোকাটির নাম হয়েছে ‘কারেন্ট পোকা’। দেখতে প্রায় উকুনের মতো। ধানগাছের নিচের অংশে অবস্থান করে প্রথমে রস চুষে খায়। পরে ধানগাছ লাল বা পোড়া বাদামি রঙের হয়ে যায়। অবশেষে আক্রান্ত ধানগাছ মারা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবার অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকার ৭ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র সাত হেক্টর জমির ধানগাছ ‘কারেন্ট পোকা’ আক্রমণের শিকার হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, দুই বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম। বর্তমানে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানের সর্বনাশ হয়েছে। ফলন ভালো হলেও পোকার আক্রমণের কারণে ২০ মণের জায়গায় ৫ থেকে ১০ মণ ধান হতে পারে।
অন্যদিকে ঝিকরগাছার কৃষক খলিল বলেন, আবহাওয়া ঠিক থাকলে সপ্তাহ খানিক পরই খেতে কাঁচি চালাব। এ অবস্থায় আশপাশে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখে আগে ভাগেই ওষুধ ছিটায়েছি সব খেতে। তারপরও খেত আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ১৮ কাটা জমির ধান কেটেছি। তাতে এক ছটাক ধান-বিচালি কিছুই হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, কারেন্ট পোকা থেকে ধানগাছ বাঁচাতে ইতোমধ্যে কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যাদের ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেছে তাদের ধান দ্রুত কেটে ফেলতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করণের প্রক্রিয়া চলছে।
কে//দেশতথ্য //নভেম্বর ১৬/২০২৩

Discussion about this post