মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ না বলে যারা সেটাকে গন্ডোগোল বলে, যারা মুক্তিযুদ্ধ মানে না, মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করে না। আজকে তারাই বলে যে এদেশে ভোট হতে দিবো না।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা এলাকায় সরকারী উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই যে কদিন পরেই ভোট হবে। আজকে বিএনপি-জামায়াত বলতেছে যে ভোট হতে দিবো না। আপনারা আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। আপনাদের কথায় বা আপনাদের বিদেশী প্রভু যারা এর মধ্যে মদদ যোগায়, যে ভোট হতে দিবে না। উনাদের বলবেন আমরা কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবো? নাকি লজেন্স খাবো? নাকি চুপচাপ বসে বসে তামাসা দেখবো? আপনারা ভোট হতে দিবেন না, তা হতে পারে না।
মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোশারফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সরকার মোশারফ হোসেন জয়, সাধারণ সম্পাদক সিকদার জহিরুল ইসলাম জয়, মৌচাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিব সিকদার, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক হারিজ উজ্জামানসহ উপজেলা-পৌর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, উপকারভোগী এবং হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
তিনি আরো বলেন, এই ভোটের অধিকার বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান আমলের। ভোটের অধিকারের জন্য বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, জেল-জুলমসহ সয্য করেছেন। এমন কি আগরতলার ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে তাকে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলাতে চেয়েছিল, সেটা পারে নাই। জনগন আন্দোলন করে তাঁকে মুক্ত করেছে। তারপর জনগন ভোটের অধিকার পান। তারা এখন বলে ভোটের অধিকার কেড়ে নিবে। মানুষকে ভোট দিতে দিবে না। ১৯৭১ সালেও সপ্তম নৌবহর আমেরিকা পাঠিয়েছিল, আপনারা বড় লাফাইছিলেন দেশ স্বাধীন হতে পারবে না। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ৭১ সালেও পরাজিত হয়েছিলেন, ২০২৪ সালেও একইভাবে পরাজিত হবেন। আপনারা নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন না। যতই অবরোধ করেন, হরতাল ডাকেন। মানুষ পুড়ে মারতেছেন। ঢাকার শহরে ১০০ ওপরে বাস পুড়ে ফেলছে, এ্যাম্বুলেন্স পুড়েছে, পুলিশ পিটিয়ে মারছে। এই হলো আজকে তাদের আন্দোলন। তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? সেই লোকও তাদের নাই।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া কি বলেছিল? আপনাদের মনে আছে? বলেছিল নৌকা মার্কায় যদি ভোট দেন, তাহলে কোনো মসজিদে আযান হবে না, উলুধনি হবে। আপনাদের বাড়ির পাশে মসজিদে মসজিদে তো আযান হচ্ছে। তিনি বলছিল নৌকা মার্কায় ভোট দিলে এ দেশ ভারত হয়ে যাবে। আজকে ১৫ বছর এদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি নরেন্দ্রমুদি। যদি শেখ হাসিনা এদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকে, তাহলে এদেশ ভারত হলো কিভাবে? আসলে খালেদা জিয়া ডাহা মিথ্যা কথা বলছিল, এটা পরিষ্কার প্রমাণিত। এখনো মিথ্যা কথা বলে তার দল বিএনপি। এখন তারা বলেন যে আওয়ামীলীগে ভোট দিলে গন্ডোগোলের সময় আপনারা যে দৌড়াদৌড়ি করেছেন? আবারো নাকি আপনাদের দৌড়াদৌড়ি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে উপস্থিত মমতাময়ী মায়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগে কোনো জায়গায় মায়ের নাম লিখতে হতো না। এখন প্রত্যেকটা মায়ের নাম আগে লিখতে হয়। এই আইন পাশ করেছেন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সম্মান দিয়েছেন। তাহলে আপনারা উনাকে কিভাবে সম্মান দিবেন? আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করে আপনারাও সম্মানিত করবেন। এসময় পুরুষদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা বলতে পারেন, মহিলাদের সম্মান দিয়েছেন, তাহলে মহিলারাই ভোট দিক। আমার মাকে যদি সম্মান দেয়, তাহলে আমরাও সম্মানিত হবো। প্রধানমন্ত্রী আমার মায়েদের সম্মানিত করেছে, আমরাও শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে সম্মানিত করবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//