মানুষের জীবন চলতে গণনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে লাগলো। এটা অনেক অনেকদিন আগের কথা। তখনকার দিনে মানুষ যখন প্রথম বর্ষ গণনা করতে শিখল, তারা বছর হিসেব করত চাঁদের কথা মাথায় রেখে। অমাবস্যা, পূর্ণিমা ইত্যাদি বিচার করে বছর গোনা হতো। মানব সভ্যতায় মিশরীয়রা প্রথম সূর্য দেখে বছর হিসেব করল, যাকে বলে সৌর বর্ষ।
খিস্টান ধর্মের অনেক প্রসার ঘটেছিল তখন। ইউরোপের খ্রিস্টানরা আবার ২৫ মার্চ নববর্ষ পালন করতে শুরু করল। ওই দিনটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ খ্রিস্টধর্ম অনুযায়ী সেদিন যিশুখ্রিস্টের মা মেরিকে তার জন্ম নেওয়ার সংবাদ দিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেল গ্যাব্রিয়েল।
যিশুখ্রিস্টের জন্ম বছর থেকে গণনা করে ডাইওনিসিয়াম এক্সিগুয়াস নামক এক খ্রিস্টান পাদ্রি ৫৩২ অব্দ থেকে সূচনা করেন খ্রিস্টাব্দের। ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের কথা। রোমের পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি জ্যোতির্বিদদের পরামর্শ নিয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার সংশোধন করেন।
১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাস থেকে দেওয়া হয় ১০ দিন। পরে পোপ গ্রেগরি ঘোষণা করেন,যেসব শতবর্ষীয় অব্দ ৪০০ দিয়ে বিভক্ত হবে সেসব শতবর্ষ লিপইয়ার হিসেবে গণ্য হবে। এভাবেই আসে গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার। এটিই কিন্তু আমাদের খ্রিস্টাব্দ।
এরপর ১৫৮২ সালেই গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১ জানুয়ারিকে পুনরায় নতুন বছরের প্রথম দিন বানানো হয়।এভাবেই অনেক সংস্কার-সংশোধনের মাধ্যমে প্রচলন ঘটে আজকের ইংরেজি নববর্ষের। ‘১৫৩ খ্রিস্টপূর্বে প্রথম রোমানরা ১ জানুয়ারি নববর্ষ পালন করেছিল।আনুষ্ঠানিকভাবে ১ জানুয়ারি নববর্ষ পালন শুরু হয় সম্রাট জুলিয়াস সিজারের আমল থেকে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post