কাকডাকা ভোরে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় বসে শ্রমের হাট। অশীতিপর বৃদ্ধ হারেস মিয়া ওই হাটের নিয়মিত শ্রমিক। থাকেন ভাটারা থানার নূরেরচালা এলাকায়। বৃদ্ধ হওয়ায় তাঁকে কেউ কাজে নিতে চায় না। টানা ১১ দিনের লকডাউনে তিনি কর্মহীন। জীবন বাঁচানোই তার জন্য দায়।
এমন দুর্দিনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ত্রাণ পেয়ে তিনি বললেন, ‘এই লকডাউনে বউ আর ছোট এক পোলা লইয়া আছি মহাবিপদে। আজ ম্যালা ত্রাণ পাইছি। ম্যালা দিন পর আইজ পেট ভইরা খাইয়াম।
হারেস মিয়ার মতো পাঁচ শতাধিক দরিদ্র, দুস্থ, কর্মহীন মানুষকে গতকাল মঙ্গলবার খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
রাজধানীর তিন শ’ ফুট এলাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) প্রাঙ্গণে এই কার্যক্রমর উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর এ মার্কেটিং ও আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দীন। এ সময় গ্রুপের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মাটি কাটা, ঢালাই, রাজমিস্ত্রির সহকারী পঞ্চাশোর্ধ্ব আব্দুল মোতালিব, লকডাউনে ১৩ দিন কর্মহীন। ত্রাণ পেয়ে তিনি বললেন, গত বছর সবাই তা-ও কম কম কইরা হইলেও ত্রাণ দিছে, কিন্তু এবার কেউ দিল না। খালি এই স্যারেরাই দিল। আল্লাহ স্যারেগো ভালা করুক।’
কোহিনুর বেগম (৩৫) বললেন, ‘১২ দিন পর শান্তি পাইলং। এই লকডাউনে হাটে লোক আহে না, নাই কামকাজ। বসুন্ধরার ত্রাণ পাইছি আইজকে পোলাপাইন নিয়া পেট ভইরা খামু।
ত্রাণ বিতরণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর এ মার্কেটিং ও আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দীন বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব আহমেদ আকবর সোবহানের নির্দেশক্রমে সারা দেশে আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের হাজার হাজার কর্মী এই ত্রাণগুলো দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে দিচ্ছেন। করোনায় যাঁরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাঁদের এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এই ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।’

Discussion about this post