মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
রাত আটটার পর স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার কোন ছাত্র বাহিরে থাকতে পারবে না (অযথা ঘোরাফেরা করতে পারবে না) এবং শহর হবে যানজট মুক্ত বলে ঘোষনা দিয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার জনবান্ধব অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম। উপজেলা সদরে যানজট নিরসন, মাদক নির্মুল, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, ইভ টিজিং বন্ধ ও আইন শৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নে সুধি জনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় গতকাল মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে তিনি এ ঘোষনা দিয়েছেন। একজন দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তার এমন বক্তব্য ও সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুধিজনসহ অভিভাবক মহল। অভিভাবকগন তার এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দেখতে চান। মির্জাপুর থানা মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভায় মির্জাপুর পৌর কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সাংবাদিক, ট্রাফিক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন, বণিক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি, বাস-মিনিবাস-লেগুনা ও অটো টেম্পো মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ, অটো রিকসা মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ, ফল ব্যবসায়ী, ইজারাদার, রাজনৈতিক দলের নের্তৃবৃন্দ, ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সুশিল সমাজের জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জাপুর রপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক ও মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, প্রেস ক্লাবের সভাপতি নিরঞ্জন পাল, বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকী, পৌসভার কাউন্সিলর আব্দুল জলিল মিয়া, আলী আজম সিদ্দিকী, শ্রমিক নেতা আলী হোসেন, রুবেল মিয়া, জাকিরুল মাওলা খাদু, ঔষধ ব্যবসায়ী ড্রাগিস্ট সমিতির নেতা জরিফ, দুলাল মিয়া, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা মোস্তাক এবং ওসি তদন্ত মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, মির্জাপুরকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে মাদক নির্মুল ও আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে এখন থেকে কোন ছাত্র-ছাত্রী রাত আটটার পর বিভিন্ন রাস্তাঘাট, কোচিং সেন্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশ এবং দোকান পাঠে অযথা আড্ডাসহ ঘুরাফেরা করতে পারবে না। মোটর বাইকের উপর বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। যদি কোন শিক্ষার্থী রাত আটটার পর রাস্তাঘাটে দেখা যায় তাহলে আইন-শৃঙ্কলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। কারও তদবির বা সুপারিশ গ্রহন যোগ্য হবে না। সে জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হইল।
অপর দিকে মির্জাপুর শহরকে যানজট মুক্ত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অবৈধ অটো রিকসা চলাচাল বন্ধ, মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশনের আশপাশ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্র ভবনের আশপাশ, কুমুদিনী হাসপাতাল রোড, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোড, গোড়াইল ভবন মোড়, কালিবাড়ি রোড, বংশাই রোড, কলেজ রোড, থানা রোডসহ প্রতিটি রাস্তার উপর থেকে অবৈধ ভাসমান দোকান তুলে নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছেন। যারা এ নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবেন মির্জাপুর পৌরসভা এবং প্রশাসন। যেখানে সেখানে মোটর সাইকেলসহ যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার লক্ষে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post