লক্ষীপুরের রামগঞ্জে স্কুলছাত্রীদের উত্যক্তের ঘটনায় বিচার চাওয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকানপাট।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ৩ নং ভাদুর ইউনিয়নের সিরন্দী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন, সফিক মিয়া, তানভির হোসেন, মুরাদ হোসেন, মামুন হোসেন, মো. মুন্না, রনক, রাকিব, মুরাদ হোসেনসহ ১০ জন।
এদের মধ্যে মুরাদ হোসেন, মুন্না, রনক ছাত্রীদের উত্যক্ত করে এবং তাদের নেতৃত্বে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলার ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মুরাদ হোসেন, মুন্না, রনকসহ কয়েকজন সিরন্দী মিঝি বাড়ি ও চাইয়ার বাড়ির তিন ছাত্রীকে কয়েকমাস ধরে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছে। পরে অভিভাবক এবং এলাকাবাসী কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান মুরাদ হোসেনসহ তার সহযোগীদের বিচার দাবি করলে বৃহস্পতিবার দেশিয় অস্ত্র ও দলবল নিয়ে মুরাদ সিরন্দী বাজারে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় দুপক্ষের ১০জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তার বলেন, ‘মুরাদ আমাদের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে একটু উশৃঙ্খল প্রকৃতির। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর সংঘর্ষটি বিদ্যালয়ের বাহিরে হওয়ায় আমি বেশি কিছু জানি না। পুলিশও নাকি ঘটনাস্থলে এসেছে। তারা বিস্তারিত বলতে পারবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৫ নভেম্বর ২০২৩

Discussion about this post