রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) থেকেঃ রামগঞ্জে প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসাগুলোতে অনিয়ম ও দুর্নীতি হিড়িক বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ২০২১ সালের সবগুলো বিষয় ফ্রি- দিয়ে ফরম পূরণ করে শিক্ষার্থীরা। ফরম পূরণ করার পরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতার কারণে সরকার মাত্র ৩বিষয় পরীক্ষা নেন। ৩বিষয় ফ্রি- বাদ দিয়ে ফরম পূরণ বাকী টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেন। উপজেলা সবগুলো মাদ্রাসা, স্কুল কর্তৃপক্ষ সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে তা শিক্ষার্থীর এখনও ফেরত দেননি। ছাত্র অভিভাবকদের অভিযোগ তাহারা এ টাকার হদিস পাননি।
রামগঞ্জ বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সৌরভ হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা পৌছে গেছে তবে সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ শিক্ষার্থী না আসার কারণে টাকা নেননি। এ ছাড়াও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহকারী প্রধানসহ পরিচালনা কমিটি এ টাকার হদিস জানেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর ৮৫% প্রধান শিক্ষকগণ জানান, এখনও তাঁহারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারেননি। সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার জানান স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আরো আগে টাকা তুলে নিয়ে যান।
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীর কাছ থেকেই গলাকাটা ফ্রি আদায় করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানসহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা জানান, শিক্ষাবোর্ড নির্দেসনার বাহিরে বাড়তি টাকা নেননি। তবে উন্নয়ন ফ্রি- বাবদ-২শত, কম্পিউটার অপারেটর খরচের জন্য একশত, কোচিং জন্য ২/৩ হাজার সহ ৫ হাজার টাকা নেন। ফরম পূরণ করার পর কেন্দ্র -ফি, মার্কসিট বিতরণ, মিলাদ মাহফিলের আলাদা ফি-নেন।
চন্ডিপুর মনসা উচ্চ সাইফুল ইসলাম, মাহী আলম, ও বালিকা উচ্চবিদ্যায় কবির হোসেন, কাওলী ডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্র অভিভাবক মো: শাহজাহান, আব্দুল কুদ্দুস জানান শ্রেণীকক্ষে চুক্তিবদ্ধ গাইড বই পড়াচ্ছেন শিক্ষক। গাইডের পাতায় এতো পৃষ্ঠা রচনাটি খুলতেই বলেন শিক্ষক। যে সকল শিক্ষার্থী গাইড বই খরিদ করেননি কিংবা শিক্ষকদের চুক্তিবদ্ধ গাইড বই ব্যতিত অন্য গাইড বই খরিদ করেন, তাহাদের পৃষ্ঠা সাথে শ্রেণী শিক্ষকদের পাঠদান গড়মিল সৃষ্টি হয়। তখনি বাধ্য করেন নির্ধারিত গাইড বই খরিদ করতে। তাহারা আরও জানান ৯ম শ্রেণীর একসেট গাইড প্রায় সাড়ে ৭ হাজার, অষ্টম ও সপ্তম শ্রেণী ৪ হাজার টাকার মতো। নোয়াগাঁও গ্রামের আবুতাহের, এরশাদ মিয়া বলেন তিনটি সন্তান স্কুলে লেখাপড়া করাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ করে কাজকর্ম শিখাচ্ছেন।
আকারতমা গ্রামের মানিক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসিনতা ও তদারকি অভাবে দরিদ্র্য পরিবারের সন্তানেরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মুনাজার রশিদ বলেন তদারকি করে যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো অনিয়ম করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আসতে হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//