রফিকুল্লাহ্ কালবী, কুষ্টিয়া
রাসুল (সা)কে অবমাননাকারী ও মুসলিম নারীদের চরিত্র হননকারী অমিত কুমারের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর তানায় ২৮(১)/২৮/৩১ ধারার মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে তাকে কোর্টে হাজির করা হলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গতপরশু রাত সাড়ে ১০টায় শহরের টালিপাড়ার একটি মেস থেকে অমিতকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। আনুমানিক ২০ বছর বয়সী অমিত কুমারের বাড়ি খোকসা এবং সে কুমারখালী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে কুষ্টিয়ার টালিপাড়ায় মেসে থাকার সুবাদে ফেসবুকে বিভিন্ন নামে ফেক আইডি খুলে দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ব্লাকমেইল করে আসছিলো। এ বিষয়ে সে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপে মুসলিম মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করার কথা খোলামেলাভাবে স্বীকার করে। মুসলিম মেয়েদের নিয়ে তার কিছু আপত্তিকর পোস্ট ও কমেন্টের জবাবে মুসলিমরা প্রতিবাদ করলে সে তখন নবী মুহাম্মাদ (সা)কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতপরশু রাতে কুষ্টিয়া টালিপাড়ার কয়েকটি মেস থেকে শতাধিক মুসলিম ছাত্র অমিত কুমারের মেসের পাশে গিয়ে অবস্থান নেয় এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
কুষ্টিয়া সদর থানায় খবর পৌঁছলে পুলিশ এসে অমিতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মুসলিম নারী ও নবী (সা)কে অবমাননার প্রতিবাদে উপস্থিত ছাত্ররা তাৎক্ষণিকভাবে থানায় গিয়ে অমিত কুমারের শাস্তি দাবি করতে থাকে। পরে ছাত্র-জনতার দাবির মুখে কুষ্টিয়া সদর থানা অমিত কুমারের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে।
বিক্ষুব্ধ মুসলিমদের দাবি সে কোন জঙ্গিবাদী হিন্দু কমিউনিটির সাথে জড়িত। এমনকি তা ইসকনের মতো উগ্র সংগঠনও হতে পারে। মুসলিম কমিউনিটি মনে করে, অমিতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওর সাথে জড়িতদের আসল হদিস খুঁজে পাওয়া যাবে।