ঢাকা অফিস : করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই দেওয়া হচ্ছে শাস্তি। কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতও। গ্রেপ্তার, জরিমানার পাশাপাশি মামলাও দেওয়া হচ্ছে।
এ নির্দেশনার অওতায় শুক্রবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুধু ঢাকায় ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা যুক্তিসংগত কোনো কারণ ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এ দিন ঢাকায় ২০৮ জনকে বিভিন্ন পরিমাণে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি মামলা করা হয়েছে ২১৯টি।
সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, শুক্রবার লকডউনে যুক্তিসংগত কোনো কারণ ছাড়া রাস্তায় বের হওয়াদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ দিন মোট পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। আনা হবে আইনের আওতায়। যন্ত্রচালিত কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না জরুরিসেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ছাড়া। এ বিধি কার্যকর থাকবে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউনের পুরোটা সময়।
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, পুলিশ রাস্তায় থাকবে। কোনো যানবাহন বের হলে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলা করা হবে। সংগত কারণ দেখাতে না পারলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতেও সাজা দেওয়া হবে। এবার পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকবে। পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকবে বলেই সবাই নিরাপদে থাকবে। দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলায় সাজা ৬ মাসের জেল ও জরিমানা।

Discussion about this post