কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে শেখ রাসেল ব্রীজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার এলাকজুড়ে সড়কের পাশে এখন পর্যটকদের যানবাহনের ভীড়। এসব গাড়িতে বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার কারনেই প্রায় লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের এমন ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল মোটেল। বিক্রি বাড়ায় হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। কুয়াকাটার পুরো সৈকত জুড়ে পর্যটকদের আনন্দ উন্মাদনা।
এদিকে কুয়াকাটার কাউয়ারচর, চর গঙ্গামতি, গঙ্গামতি, ঝাউবাগান, শুঁটকি পল্লী, লেম্বুর বন, মিশ্রিপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহার, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন মার্কেট সহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
ঢাকার খিলক্ষেত থেকে আসা পর্যটক সোমা হোসেন জানান, গতকাল বিকালে আমরা কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। তখন এতো বেশি মানুষ ছিলনা। কিন্তু সকাল থেকে লোকে লোকারন্য পুরো কুয়াকাটা সৈকত। আমরা পরিবারের সদস্যরা অনেক আনন্দ করেছি। বাচ্চারা ঘোড়ায় চড়ে বেশ মজা পেয়েছে।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে আসা পর্যটক বাবু জানান, এতো বেশি মানুষ একসঙ্গে আমি আর কখনও দেখিনি। আমরা বন্ধুরা ভোরে এসেছি। সবাই মিলে সৈকতে সাতাঁর কেটেছি। দারুন একটি উপলব্ধি। বেশ ভালো লাগছে।
পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির লাইন সেক্রেটারী মাহবুব আলম জানান, কুয়াকাটায় কোন বাসস্ট্যান্ড নেই। যার কারনে আজ যে গাড়িগুলো এসেছে সেগুলো সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। হাজারের উপরে গাড়ি আছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, আজ আগের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমাদের সকল হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে। পদ্মা সেতু কুয়াকাটার পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আজ কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগতদের নিরাপত্তায় আমরা বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছি। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশসহ থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//ফেব্রুয়ারী ১০,২০২৩//

Discussion about this post