শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট: জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী সরকারি খাদ্য গোডাউনের ৬’শ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছ ।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে এই খাদ্য গোডাউন হতে প্রায় ২৫০ মেঃটন চাল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এ ঘটনার পর হতে পলাতক রয়েছে খাদ্য গোডাউন কর্মকতা পরির্দশক ফেরদৌস আলম।
এদিকে শুক্রবার রাতে খাদ্যগুদামের পরিদর্শক ফেরদৌস আলম কে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে ২৬টি ট্রাকক্টরের টলি বোঝাই করে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা ভোটমারী খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা খাদ্য (পরিদর্শক) ফেরদৌস আলম ৬শত বস্তা চাল (৩০ টন) গোপনে সরিয়ে একই উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সুকানদিঘীর
চালকল মালিক একরামুল হকের গুদামে নিয়ে রাখে।
বিষয়টি জনতার নজরে এলে উর্ধতণ কর্মকর্তাদের জানায়। পরে জনতার চাপে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম চাল কলের মালিকের গোডাউনে (একরামুলের গোডাউনে) অভিযান চালায়।
এসময় সেখানে ৬শত বস্তা (৩০ টন) সরকারি খাদ্য গোডাউনের চাল উদ্ধার হয়। পরে খাদ্য গোডাউনের রেজিষ্টার মিলাতে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে ধরা পড়ে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার সরকারি চাল সরকারি গোডউন হতে খোয়া গেছে। যার পরিমান প্রায় ২৫০ মেঃটন। এই ঘটনার পর হতে খাদ্য গোডাউনের কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম ও চাল কল মালিক একরামুল লাপাত্তা রয়েছে। তবে রহস্য জনক কারণে শুধুমাত্র খাদ্য গোডাউনের কর্মকর্তা ফেরদৌসের নামে থানায় মামলা হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনে চুরি মাল যার কাছে পাওয়া যাবে তিনিও প্রাথমিক ভাবে অপরাধী। সে ক্ষেত্রে চালকল মালিক একরামুলের নামে মামলা না হওয়ায় জনতা হতাশ হয়েছে। এই মামলার আইনি পদক্ষেপ নিয়ে ন্যায় বিচার নিয়ে আশস্কা প্রকাশ করছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি জানান, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও এই মামলাটি তদন্ত করবেন দুদক, কুড়িগ্রাম। থানা পুলিশ তাদের সহায়তা করবেন। মামলায় বাদি হয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা কর্মকর্তা এনামুল হক। কেন তিনি একজনের নাম উল্লেখ করে মামলায় আসামী করেছেন সেটি তদন্তের বিষয়।
” তদন্ত কমিটি গঠন”
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে (ভারপ্রাপ্ত) সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এ তদন্ত কমিটি আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকে জমা দিতে বলা হয়।
জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে গুদামের ২৫০ মেট্রিক টন চাল তছরুপ করা হয়েছে। ধরা পড়ে উদ্ধার হয়েছে মাত্র ৩০ মেঃটন চাল। বাকি চাল উদ্ধারে কার্যকর ভুমিকা নেয়া হবে।
Discussion about this post