Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 10:32 pm

লালমনিরহাটে নদীতে বৈদ্যুতিক শক্ দিয়ে মাছ শিকার, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

নদীতে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকার হচ্ছে। এতে করে মাছের রেণু ও পোকামাকড় মরে যায়। নদী খাল-বিলের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছর পর নদ,নদী খাল-বিলে দেশি প্রজাতির মাছ মিলবে না।

নদীমাতৃক বাংলাদেশ। জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নদ, নদী, খাল বিল। উত্তরের জেলা লালমনিরহাট। এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান,রত্নাই নদী। ১৩ লাখ মানুষের বসবাস এ জেলার ৫ টি উপজেলায়। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার কোন না কোন ভাবে নদী কেন্দ্রীক মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নদীতে মাছ শিকার তাদের কারও কারও একমাত্র পেশা। এতোদিন জাল দিয়ে মৎস্য শিকারী করে আসছিল তারা। এখন কম পরিশ্রমে বেশী মাছ ধরতে নৌকায় হাই ভোল্টের বিশেষ ধরনের ব্যাটারি নিয়ে মাছ শিকারে যায়। এই হাই ভোল্টের ব্যাটারি দিয়ে পানিতে বৈদ্যুতিক শক দেয়। এতে ২০/২৫ বর্গফুটের মধ্যে মাছ সহ জলজ প্রাণি মরে ভেসে ওঠে। মাছের রেণু ও ছোটছোট মাছ বৈদ্যুতিক শক্ খেয়ে পানিতে সিদ্ধ হয়ে ও পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। পানিতে থাকা খাদ্য উপাদান ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রোটিন গুলো নষ্ট হয়ে যায়। জাল দিয়ে জেলেরা আগের মত মাছ ধরতে পারে না। নদীতে মাছ নেই বললেই চলে।
মৎস্য জীবি মোঃ মোসলেম উদ্দিন (৪৫) জানান, এখন জাল বা ছিপ দিয়ে নদীতে মাছ পাওয়া যায় না। এক শ্রেণির লোক নৌকায় হাই ভোল্টের ব্যাটারি নিয়ে এসে বৈদ্যুতিক শক্ দিয়ে মাছ ধরে।
এই পদ্ধতিতে মাছ ধরলে পানিতে থাকা সকল ধরনের রেণু ও ক্ষুদ্র প্রাণি পর্যন্ত মরে যায়। তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান ও রত্নাই নদীতে সন্ধ্যা হতে সারারাত কমপক্ষে ২/৩ শত জন এই বৈদ্যুতিক শক্ দিয়ে মাছ ধরছে।

লালমনিরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুকুল ইসলাম জানান, বেশির ভাগ সময় বৈদ্যুতিক শক্ দিয়ে রাতের বেলায় মাছ ধরে। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যায় না। জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয় করে অভিযান চালানো হবে।