(হত্যাকারীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা)
শেখ সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট থেকে \ ৬ জুন \
বন্ধুকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ঘাতক বন্ধু মধুচন্দ্র (১৮) কে আটক করেছে। লাশ উদ্ধারে ভাটেশ্বরী নদী পাড়ে নিয়ে গেছে উত্তেজিত জনতা ঘাতক বন্ধকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ জনতা ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ভাটেশ্বর নদী পাড়ে।
জানা গেছে, পুরনো একটি মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল দুই বন্ধুর পরিবারের মধ্যে। হত্যাকান্ডের শিকার ফরহাদ হোসেন(১৪) ও ঘাতক মধুচন্দ্র (১৮) প্রতিবেশী বন্ধু। খুনের শিকার ফরাদ হোসেন ভাদাই ইউনিয়নের শিববাড়ি রুহানী নগর গ্রামের শাহাজাহান আলীর পুত্র। ঘাতক মধু চন্দ্র একই গ্রামের মৃত সুবাশ চন্দ্রের পুত্র। গত ৪ জুন মঙ্গলবার রাত ১১ টার পর হতে ফরহাদ হোসেন নিখোঁজ ছিল। তারবাবা এ বিষয়ে থানায় পরদিন মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে ছিল। ফরাদ হোসেন স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থী । কয়েক বছর আগে মধু রায়ের বাবা সুবাশ হত্যাকান্ডের শিকার হলে মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়। ফলে কাকা শ্যামলের বাড়িতে বেড়ে উঠে মধু। সে বেশকিছুদিন হয় ঢাকায় গামেন্টের্সে কাজ করছে। ছুটিতে বাড়িতে এলে ফরাদের সাথে ঘোরাঘুরি করে থাকে। তাদের মধ্যে খুবভালো বন্ধুত্ব ছিল। মধুর বাবার একটি পুরনো মোটরসোইকেল ফরহাদের বাবা কাছে বিক্রি করে। মধু ধারণা সেই মোটর সাইকেলের অর্থ সঠিক ভাবে দেয়নি ফরহাদের বাবা। গত মঙ্গলবার রাতে ভাটেশ্বরি নদী পাড়ের নির্জন জায়গায় ফরহাদকে নিয়ে যায় মধু। সেখানে তাকে সিগারেটের সাথে নেশা জাতীয় কিছু খাওয়ায়। তারপর গলাকেটে ও কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে, লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়। বন্ধু ফরহাদ নিখোঁজের পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। পুলিশের জেরার মুখে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। এদিকে পুলিশ বিকালে প্লেস অফ অকারেন্স (পিও) পরিদর্শন করাতে ও মৃতদেহ সনাক্ত করতে ঘাতক বন্ধু মধুকে নিয়ে যায়। সেখানে মূহুর্তে হাজার হাজার জনতা গ্রামবাসী গণ জমায়েত হয়। তারা পুলিশের হাত হতে আসামীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের বাধার মুখে জনতা পুলিশ প্রায় এক ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সৃষ্টি হয়।
আদিতমারী থানার ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলাম জানান, মধু রায়ের কাছে ফরহাদের ফোন পাওয়া গেছে। তার কথামত নদী হতে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার কাজে ব্যবহ্নিত ধারালো অস্ত্র দা উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোহাগ//দেশতথ্য//জুন ০৬/০৬/২০২৪

Discussion about this post