শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট:
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএসের চাচাত ভাই ও তার বাহিনী প্রধান আশিক বাবু রাজ পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে হাতেনাতে আটক হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বারোঘরিয়া হতে তাকে আটক করেছে। একই এলাকায় পৃথক দুইটি অভিযানে পাঁচ জন কে আটক করা হয়। তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আদিতমারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে আদিতমারী থানায় পৃথক দুইটি অভিয়ানে পাঁচ জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। রাত্রিকালীন সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) একেএম ফজলুল হক এর নেতৃত্বে আদিতমারী থানাধীন মহিষখোচা ও পলাশী ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে পলাশী ইউনিয়নের দেওডোবা হতে মহিষখোচা ইউনিয়নের মহিষখোচা গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র মোঃ শামীম মিয়া (২৮), একই ইউনিয়নের বারোঘরিয়া গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের হাজী মোখলেছুর রহমানের পুত্র ও সাবেক সমাজকল্যানমন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান মিজানের চাচাত ভাই মোঃ আশিক বাবু রাজ (৩২) কে পুলিশ আটক করে সে এপিএস মিজানের তিস্তার বালু খেকো ও দূর্বৃত্তদলের প্রধান । এছাড়াও রাতে মহিষখোচা স্পার বাধ হতে মোঃ সুজন মিয়া (১৯), পিতা- আব্দুল করিম বকস্ , মোঃ রায়হান (২২), পিতা মোঃ মুকুল মিয়া, ও মোঃ মজমুল (২০), পিতা- মোঃ জহুরুল, সর্বসাং- গোবর্ধন স্পারবাধ, ৭ নং ওয়ার্ড, মহিষখোচা, থানা- আদিতমারী, জেলা- লালমনিরহাট মাদক সেবনরত অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।
গ্রামবাসীর অভিযোগ ১টি প্রভাবশালী চক্রের ছত্র ছায়ায় এখানে চক্রটি মাদক ব্যবসা করে আসছে। এখানে এখানে তিস্তা নদীর অবৈধ বালু উত্তোলন, মাদ্রসা মাঠের জায়গায় ইট, পাথরের অবৈধ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা এপিএস মিজানের আত্মীয় স্বজনের নেতৃত্বে মিজান নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। মহিষখোচা এই রুটটি শিল্প এলাকা হারাগাছ ও রংপুর শহরসহ ঢাকায় মাদক পাচারের বিশাল রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই রুটের নেতৃত্বে রয়েছে এপিএস মিজান ও তার আত্মীয় স্বজনরা।
সাবেক সমাজকল্যানমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ এমপির নির্বাচনী এলাকা চাপারহাটে প্রকাশ ১৫ বছর ধরে চলছে ভারতীয় গরুর ব্যবসা। এই ব্যবসার নিয়ন্ত্রক এপিএস চক্র। যেসব সংবাদ কর্মী এপিএসের স্ত্রীর গাড়ি হতে মাদক উদ্ধারের খবর জোরালো ভাবে পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করেছিল তাদের করা হয় নানা ভাবে হয়রানি। এমন কি তাদের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া হতে চাকুরিচ্যত করা হয়। তাদের একজন ছিল লালমনিরহাটের সেই সময়ের দৈনিক জনকন্ঠ ও বাসসের সংবাদ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম শাহীন। সাংবাদিক শাহীনকে মাদক বিরোধী রিপোর্ট করার কারনে চরম নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানি করা হয়ে আসছে।
আদিতমারী থানার ওসি মাহামুদুন্নবী জানান, মাদক আইনে নিয়মিত মামলার রজু করে ধৃত আসামিদের কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post