শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট:
টানা ৬ বছর ধরে বিআরটিএ আইনে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটিও মামলা হয়নি।
এ ঘটনায় আদালতের নজরে আসে। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ ও আদালতের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
লালমনিরহাট চিফজুডিশিয়াল আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের পর হতে লালমনিরহাট ট্রাফিক পুলিশের বিভাগ হতে বিআরটিএ আইনে (মটরযান আইন আসমলি আদালত) আদালতে কোন রেগুলার মামলা দায়ের হয়নি।
এতে করে মটরযান আইনে বিচারপ্রার্থী গণ ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়েছেন। ৬ বছর ধরে মটরযান আইনে আদালতে মামলা না হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে সদ্য যোগদানকৃত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রেজাউল করিম এর। তিনি আদালতের নথিপত্র দেখতে পায় প্রায় ৬ বছর ধরে মটরযানে লালমনিরহাট মটরযান আমলি আদালতে কোন মামলা দায়ের হয়নি। এ বিষয়টি অবগত করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজাউল করিম গত ২৯ এপ্রিল পাবলিক প্রসিকিউটর ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর কে পত্র দিয়েছে। তার জবাবে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সেপেক্টর আশীক কুমার আদালতকে ১৪ মে ৫৪টি কেসস্লিপ ও একটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেয়। গত ৪ জুন কোট পুলিশের ইন্সেপেক্টর পুলিশ সুপারের মাধ্যমে মটরযানে মামলার তথ্য ও নথিপত্র আদালতকে দিতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত ৩০ কার্যদিবস ট্রাফিক পুলিশকে সময় দেয়। ৬ বছর পর গত ৩০ জুন ট্রাফিক পুলিশ মটরযান আইনে ৩৪ টি মামলার কেস স্লিপ আদালতে প্রেরণ করেন। বাকী মামলায় তথ্য যাচাইবাছাই করতে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে আদালতকে অবগত করেন। পরবর্তীতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর পূর্ণাঙ্গ ২৮টি মামলা বিচারের জন্য আদালতে দায়ের করেন। পুনরায় ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর ১৭ অক্টোবর সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।
আদালত সময় মঞ্জুর করেন। এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আশীক কুমার জানান, ২০২৩ সালে এই জেলায় ট্রাফিকের ইন্সেপেক্টর হিসেবে যোগদান করি।
কেস স্লিপ ডাক যোগে দেশের বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে যাচাইবাচাই করতে হয়। এই রিপোর্ট আসার পর আদালতে মামলা দায়ের করতে হয়। এখন নিয়মিত মামলা দায়ের হচ্ছে। ছয় বছরে ২৪ শত মামলা জমা হয়ে ছিল। ইতোমধ্যে ৯ শত মত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি গুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে এখন মটরযান শাখার দায়িত্বে আমি নেই। ট্রাফিক পুলিশের অন্য শাখায় কাজ করছি।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রেজাউল করিম জানান, আদালতে নজরে এলে পত্র দিয়ে অবগত করা হয়। মটরযান আইনে মটরযান আমলি আদালতে ৬ বছর কোন মামলা দায়ের হয়নি। পত্র দেয়ার পর কয়েক দফা সময় নেয়ার পর কিচু মামলা বিচারের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে কোর্ট পুলিশের মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশ।