শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাট জেলায় বন বিভাগ ও সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি দপ্তরে ও নাসারীতে চলছে কর্মকতার্ কর্মচারী সংকট।তারমধ্যে চলছে বদলীর হিরিক।
হাতীবান্ধায় ৮২ একরের প্রাকৃতিক শাল বনটির দুইজন কর্মচারীর মধ্যে একজনকে বদলি করা হয়েছে। এভাবে ৫ উপজেলার ৫ জন বাগান মালি পদে কর্মরতদের তিন জনকে বদলি করা হয়েছে। একজন রয়েছে অবসরে। মুখথুবড়ে পড়েছে সামাজিক বনবিভাগের কার্যক্রম।
জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ফরেষ্ট অফিসারের সংকট রয়েছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলা ফরেষ্ট কর্মকতার্ লালমনিরহাট ও আদিতমারী উপজেলা কর্মকতার্ হিসেবে দুই উপজেলার দায়িত্বপালন করছে। এদিকে এই জেলায় একটি ৮২ একরের শালবন রয়েছে হাতীবান্ধা উপজেলায় । সেখানে বন সংরক্ষন কর্মকর্তাসহ একাধিক পদ শূন্য রয়েছে। একজন বন প্রহরী ও বাগান মালি ৮২ একরের শালবন রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে। এই দুই কর্মচারীর মধ্যে বাগান মালি আব্দুল বারী সমাদ্দারকে হঠাৎ করে নীলফামারী জেলায় বদলী করা হয়েছে। তিনি ৩০ এপ্রিল নীলফামারীতে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
বিশাল ৮২ একরের শালবনটি এখন হতে একজন বন প্রহরী দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা নাসারীর্ মালি পহেলা জানুয়ারিতে চাকরিকালীন অবসরে গেছে। তার পদটি শূন্য পড়ে রয়েছে। মালি পদে সেখানে অন্য কেউ না থাকায় নাসারীর চারা রোপন, পরিচচার্ কাজ ব্যহ্নত হচ্ছে। আদিতমারী উপজেলায় একজন মালি পদে কর্মরত ছিল। তিনি বাগান মালি হতে বন প্রহরী পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তাকে কক্সবাজারে বদলি করা হয়েছে। এখন হতে আদিতমারী উপজেলা নাসার্রীতে
চারা রোপন ও পরিচযার্র কাজ ঝুঁকিতে পড়বে। জেলা নাসার্রীতে একজন বাগান মালি ও একজন বাগান প্রহরী কর্মরত রয়েছে। বাগান মালি পদে কর্মরত নারী কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে কক্সবাজারে।
জেলা বন কর্মকতার্ পদে দায়িত্বরত কর্মকতার্ মোঃ আনিছুর রহমান জানান, খুব সমস্যায় রয়েছি। জেলায় বন বিভাগে কর্মকতার্ কর্মচারী তীব্র সংকটে রয়েছে। এরমধ্যে তিন জন কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। ৮২ একরের হাতীবান্ধা প্রাকৃতিক শালবনটিতে দুই জনের মধ্যে একজনকে বদলি করা হয়েছে। সেখানে একজন বন প্রহরী পদে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একজন ব্যক্তি বিশাল এই বনে কিভাবে একা দায়িত্ব পালন করবে তা প্রশ্নবিদ্ধ।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post