সিলেট অফিস:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সব আবাসিক হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি জানান, প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য, হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট সবাই আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমরা সবাই একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করতে। ইতোমধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগ চেয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার প্রক্টর, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা, প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টটা পদত্যাগপত্র জমা দেয়।
এদিকে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রত্যাশা এবং আহ্বানের কথা তুলে ধরেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজ।
শাবিপ্রবির নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজের সংগঠক অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাদের যোগ্যতা ও মেধা এবং ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সফল গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছেন। এই অর্জনকে বিফল করার জন্যে গত দুদিন ধরে কুচক্রীদের লুট, আগুন সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যা চলছে দেশজুড়ে। আমরা প্রথমত এ ধরনের অপশক্তির প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছি। আমরা দেশবাসীর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কিছু প্রত্যাশা ও আহ্বান জানাচ্ছি।’
নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের আহ্বানগুলো হলো: সব রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীসহ দেশবাসী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে দাঁড়ান, পাড়ায় পাড়ায় জাতীয় সম্পদ, মন্দির, গির্জা রক্ষা করুন, লুটপাট ও আগুন সন্ত্রাস রুখে দিন, দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনাপ্রধান ব্যবস্থা নিন এবং তা বাস্তবায়নে জনগণ সহযোগিতা করুন, পেশাজীবী, সুশীল সমাজ ও অভিভাবকগণ উপদেশ ও পরামর্শ প্রচার করুন, আহবান জানান দেশবাসীকে এবং শক্তিশালী করুন ছাত্র নেতৃবৃন্দকে, দ্রুত কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট গঠন করুন, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক, যা আমরা লিখিতভাবে আগামীতে জাতির সামনে তুলে ধরব।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি, যা মূলত আমাদের প্রত্যাশা সেটি ব্যক্ত করছি, তা হলো, চলমান প্রতিহিংসা মূলক অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত, ভাঙচুর, সম্পদে আগুন দেয়া, গুপ্ত হত্যা ও খুন বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের সবাইকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অতুলনীয় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতেই হবে। সোনার দেশের সার্বিক শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করছি
দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post