ইরফান উল্লাহ, ইবি :
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বাম সংগঠনের বিষয়ে বলেন, “তারা আট মিনিট কথা বললে সাত মিনিটই শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
অপরদিকে আমরা আমাদের নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে কাজ করি। কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছে—১০ জন মিলে তারা যতটা গণ্ডগোল করতে পারে, হাজারো শিক্ষার্থীও তা পারে না। তাদের দল এখন কেবল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আর মবক্রেসির জন্যই টিকে আছে। শাহবাগে কিংবা শাপলা গণহত্যাকেও তারা ন্যায়সঙ্গত দেখানোর চেষ্টা করেছে।”
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত হাফেজে কোরআন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন ।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বারবার বলেছি ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে নিয়মিত প্রক্রিয়ায় আনতে হবে। প্রতি বছর নির্দিষ্ট তারিখে এটি সম্পন্ন হলে অপ্রয়োজনীয় সময়ক্ষেপণ বা শিক্ষাজীবনে বিঘ্ন ঘটবে না। আর প্রশাসন যেভাবে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে, সেটি আড়াল করার জন্যই বামরা ভিত্তিহীন বর্ণনা দাঁড় করাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন কখনো ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বরং এখানে দেখা যায়, বাম সংগঠনগুলো যারা আওয়ামী লীগের সহযোগী, তারা বারবার আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে।”
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “আমরা আহ্বান জানাই, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেসব ক্যাম্পাসে এখনও নীতিমালা প্রণয়ন হয়নি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি দ্রুত একটি কমিটি গঠন করে সবার জন্য অভিন্ন নীতিমালা প্রয়োগ করুক। কারণ ছাত্র সংসদ দলীয় নয় বরং এটি ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা অনুরোধ করছি তারা যেন প্রতিটি ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেন। যাতে যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব উঠে আসে এবং জাতীয় জীবনে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, ইবির সিন্ডিকেট সদস্য ড. আব্দুল মান্নান, আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ৩২৮ কুরআনে হাফেজকে সংবর্ধনা দেয় সংগঠনটি।