অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা ভবনের দেওয়াল ভেঙ্গে বসত বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাতশালা জামে মসজিদ সংলগ্ন ভাতশালা ফুরকানিয়া মাদ্রাসাটি প্রায় শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ওয়ক্ফে করা একটি প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসাটি শতবছর ধরে দূর্গম হাওরে ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে আসছে। তাছাড়া স্বাধীনতার পর থেকেই কাস্তুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে।
এলাকাবাসী জানান, ভাতশালা জামে মসজিদে লোকমান আহমদ ইমাম হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর অবৈতনিক ও ওয়াক্ফে করা মাদ্রাসাটি বন্ধ করে নিজে একটি প্রাইভেট মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার নামে বানিজ্য করে আসছেন। তার পরিবারের লোকজন নিয়ে মাদ্রাসার দেওয়ালের একটি অংশ ভেঙ্গে পারিবারিক রাস্তা তৈরি করেন এবং ভবনটিতে গৃহস্থালির তৈজসপত্র ভর্তি করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার শুরু করেন।
মসজিদ মাদ্রাসার জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছেন টয়লেট ও রান্নাঘর। তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায় কোমলমতি শিশুরা ইসলামি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
এ বিষয়ে ভাতশালা মসজিদের ইমাম লোকমান আহমেদের সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কাস্তুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান, ইমাম লোকমান আহমদ ও তার পরিবার মাদ্রাসা ভবনের দেওয়াল ভেঙ্গে পারিবারিক রাস্তা তৈরি করে মাদ্রাসা বন্ধ করে ভবনটি নিজেরা ব্যবহার করে আসছেন। এতে এলাকার শিশুরা ইসলামি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া ভবনটি তাদের দখলে নিয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে ভোট গ্রহণের পরিবেশও নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলশাদ জাহান মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। আমি শীঘ্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//