Print Date & Time : 14 September 2025 Sunday 3:32 pm

শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

উত্তরের জনপদ লালমনিরহাটে টানা ২৪ ঘন্টা ধরে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। একইসঙ্গে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইছে হিমেল হাওয়া কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারপাশ। আবার গুঁড়ি গুঁড়ি হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। জুবুথুবু হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। সূর্যের সাথে দেখা নেই। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গিয়েছে। ঠান্ডা ও কুয়াশা আচ্ছন্ন থাকায় মাঠে কৃষি কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডা কবলে শুধু মানুষ নয়, পড়েছে গৃহপালিত পশু। কৃষক পরিবার পশু কে শীত হতে রক্ষায় গৃহপালিত পশুর গায়ে মোঠা চট বেধে দিয়েছে।
রংপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ (১১ ডিসেম্বর ) রংপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪-১১ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতি বেড়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। এ জেলার অবস্থা হিমালয়ের পাদদেশে তাই সারা দেশের চেয়ে লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বেশি। ভোর রাতে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
এদিকে টানা ২৪ ঘন্টা শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় নাকাল হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। লোকজন খুব প্রযয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। ঘরে ফিরছে সন্ধ্যা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে। তবে আজ সকালে প্রচন্ড কুয়াশা থাকলেও দুপুর ১২ টার পর উঠেছে সূর্য, তবে প্রখরতা ছিল কম। রবি শস্যের পুরো মৌসুম চলছে। এখন কৃষক ধান কেটে মাড়াই করে নিয়েছে। পুনরায় জমিতে চাষা দিয়ে প্রস্তুত করেছে। কৃষি শ্রমিক আব্দুল বারী জানান, শীতের কারণে খুব খারাপ অবস্থা। ঠান্ডায় কাজকাম করা যায় বা। মাটিতে চারা রোপণ করতে গিয়ে হাত-পা জড়ো হয়ে আসে। বড়বাড়ির কৃষক চন্দন কুমার রায় বলেন, খুব সকাল সকাল মাঠে কাজে যাই। এটা হামার অভ্যাস। কিন্তু এই শীতে বেগতিক, অবস্থা খারাপ। অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে। কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড শীত, আর ভালো লাগে না। এই শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে গরিব মানুষের কষ্ট বেড়েছে। কষ্ট বেড়েছে শহরের ভাসমান ছিন্নমূল মানুষের। তিস্তার চরের মানুষের। চরে গাছপালা নেই। তাই শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। জেলা প্রশাসনের পক্ষে সরকারের কাছে শীতবস্ত্রের বরাদ্দ চেয়ে পাঠিয়েছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা ফেরদৌস জানান, শীতবস্ত্র জেলা প্রশাসনের কাছে আছে। প্রয়োজনে শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দেয়া হবে।
শেখ সুদীপ্ত শাহীন

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//