মুহাম্মদ রুমান দেওয়ান, নারায়ণগঞ্জ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে মাছ ব্যবসায়ী মিলন নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত মিলন সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটরা গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। রবিবার রাতে নিহত মিলনের স্ত্রী শাহনাজ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, শাহজালাল বাদল, নুর উদ্দিন মিয়া, রুহুল আমিন, ইফতেখার আলম খোকন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ ৬২ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পন্ড করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতা-কর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নিত সৃষ্টি করে এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে। আসামিরা রাস্তায় অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করে।
এসময় মিলন মাছের আড়ত থেকে বাড়ি ফেরার সময় বুকে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মজিবর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মো. ইয়াসিন মিয়াসহ সকল আসামিরা পোষ্টমর্টেম ও জানাযা না করে মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার, দুমকী উপজেলার, আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন এর ঝাটরা গ্রামে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

Discussion about this post