চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ঝিনাইদহের আলোকিত নারী চিকিৎসক ডাঃ শামীমা সুলতানাকে
“শেরে বাংলা পীস এ্যাওয়ার্ড” ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকার শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ মিলনায়তনে এই সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
এ সময় শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার সোনারগাঁ হোটেলে এ সম্মননা প্রদান করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম র্কোটের সাবেক প্রধান বিচারপতি এম তাফাজ্জেল হোসেন, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা শাহ আলম চুন্নুসহ আরো অনেকে। এই নিয়ে ঝিনাইদহের এই গুনি চিকিৎসক ৫ বার বিভিন্ন পদক ও এ্যাওয়ার্ডে ভুষিত হলেন।
ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে ডাঃ শামীমা সুলতানা ইওসি কাজের জন্য প্রথম এওয়ার্ড পান। এরপর ঝিনাইদহ পৌরসভার পক্ষ থেকে রত্নাগর্ভা মা হিসেবে স্বংবর্ধনা প্রদান করে ক্রেস্ট দেয়া হয়। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে বিশ্ব নারী দিবসে ঢাকার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তন আইডিবি ভবনে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল তাকে আলোকিত নারী হিসেবে মাদার তেরেসা গোল্ড এ্যাওয়ার্ড পদকে ভুষিত করে। এছাড়াও চলতি বছর চিকিৎসা সেবা ও মানব কল্যানে বিশেষ অবদান রাখায় ঢাকায় কবি সুকান্ত স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ৩৮ বছর চিকিৎসা জীবনে ডাঃ শামীমা সুলতানার এই প্রাপ্তি ঝিনাইদহবাসির জন্য গৌরবময় খ্যাতি বয়ে এনেছে।
জানা যায়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনী এন্ড অবস ডাঃ শামীমা সুলতানা রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ১৯৮৩ সালে চাকরি জীবন শুরু করেন। শুরু থেকে তিনি নিজেকে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ডাঃ শামীমা সুনামের সাথে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তার স্বামী ডাঃ সিদ্দিকুল ইসলামও একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৭ সালে জেলার এই নারী চিকিৎসক অবসরে গ্রহন করে নিজের নামের ক্লিনিকে নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ অর্জনে জেলায় কমর্রত চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post