আবু সাঈদ নিজস্ব সংবাদদাতা: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিখ্যাত কেওয়া বাজারে গরুর চেয়ে মহিষ বেশি দেখা গেছে।
তবে বাজারে ক্রেতা কম বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতা। সোমবার বিকাল ৪ টায় গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা শ্রীপুর সড়ক ঘেঁষে কেওয়া বাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
একাধিক গরু ও মহিষ ব্যবসায়ী বলছে, যদি জানতাম বাজারে ক্রেতা থাকবেনা তাহলে আজকে এই বাজারে আসতাম না। রাজশাহী থেকে ২৪ টি মহিষ নিয়ে এসেছেন মহিষ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে বাজারে চলে এসেছি। এখন বিকাল ৩ টা বাজে। এখনো একটা মহিষও বিক্রি করতে পারিনি।
গাজীপুরের মাস্টার বাড়ী এলাকার সুমন মিয়া বলেন, ছোট ভাইকে নিয়ে গরু কিনতে এসেছি। আমার বাজেট কম। এক লাখ টাকার ভিতরে একটা গরু কিনবো। মাওনা সলিং মোড় থেকে তিনটা মহিশ নিয়ে এসেছেন হাসান আলি। তিনি বলেন, ৩০ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা মন কালি করে বাজারে মহিষ বিক্রি করার চেষ্টা করছি।
মাওনা টেপির বাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, আমি একটি বলদ গরু নিয়ে এসেছি। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত আমার গরুটির মাত্র দুইজনে দাম বলেছে। স্থানীয় বকুলতলা গ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, আমি একটি ষাঁড় বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দামে বিক্রি করে ফেলবো।
স্থানীয় কলেজ শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এবার এ বাজারে ক্রেতা কম। গত বছর এই বাজারে ভালো বেচা কেনা হইছে।
শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহসীন আহমেদ বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক সংকট চরমে। এছাড়া মানুষ আরো কয়েকদিন পরে গরু মহিষ কিনবে। আগে প্রতি বাড়ীতে ঘোয়াল ঘর ছিলো। এখন ঘোয়াল ঘর নেই। নগরায়নে এ সমস্যা হয়েছে।
কেওয়া বাজার ইজারাদার হাজী সাইফুল ইসলাম জানায়, আজ বাজারে হাজারো গরু মহিষ উঠেছে। তবে ক্রয় বিক্রয় একেবারে কম। তিনি বলেন, বিক্রি বাড়াতে বাজারে মাইকিং করা হচ্ছে, বলা হচ্ছে, গরু ও মহিষ বিক্রেতা ইজারা মাত্র ৫০০ টাকা, ক্রেতা ৩০০ টাকা। খাশি বিক্রেতা ২০০, ক্রেতা ১০০ টাকা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//