Print Date & Time : 23 August 2025 Saturday 8:23 pm

সংগৃহীত ডিম থেকে চলছে রেনু ফোটানো

হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী থেকে সংগৃহীত মা মাছের ডিম থেকে রেনু ফোটানোর কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দুপুরের দিকে হালদা পাড়, মাছোয়া ঘোনাসহ কয়েকটি হ্যাচারীতে ঘুরে ডিম সংগ্রহকারীদের ব্যস্থ সময় পার করতে দেখা গেছে।

ডিম সংগ্রহকারীরা বলছেন, গত মঙ্গলবার হালদা নদীতে যে পরিমাণ ডিম ছেড়েছে তাকে পুরাপুরি ডিম ছাড়া এবং নমুনা ডিমও বলা যায় না, তবে এই ডিমকে নমুনা ডিম থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কেউ কেউ বলছেন, বৈশাখীর দমকা হাওয়া, বজ্রসহ বৃষ্টি পাতের ফলে রাতের জোয়ার, কিংবা ভাটার সময় হয়তো মা মাছ নদীতে ডিম ছেড়ে দিয়েছে। তবে আগে নমুনা ডিম না ছাড়ার কারনে এই আমাবস্যার তিথিতে মা মাছ ডিম ছাড়বে কিনা সেই ধারনাও করতে পারেনি ডিম সংগ্রহকারীরা।

গত মঙ্গলবার নদীর অংকুরীঘোনা, গড়দুয়ারা নয়াহাট, পাতাইজ্জ্যার টেক, সোনাইমুখ, মাছুয়াঘোনা, আজিমারঘাট, আমতুয়া, খাড়িরমুখ নাপিতেরঘাট, কুমারখালি, মইশকরম, চইল্যাখালী, রামদাস মুন্সিরহাট,মদুনাঘাট, ছায়ারচড়সহ নদীর বিভিন্নস্থান থেকে মা মাছের ডিম সংগ্রহ করে ডিম সংগ্রহকারীরা।

এদিন প্রতি নৌকায় এক থেকে দেড় ২ বালতি ডিম সংগ্রহ করেন ডিম সংগ্রহকারীরা। তবে আগামী ১০মে পর্যন্ত আমাবস্যার তিথি/ জোঁ রয়েছে। এই জোঁতে হয়তো ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই জোঁ তে যদি মাছ ডিম না ছাড়ে তাহলে আগামী পূর্ণিমা অথবা জুন মাসের আমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে ডিম ছাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন গড়দুয়ারা এলাকার ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগরসহ বেশ কযেকজন ডিম সংগ্রহকারী।

হাটহাজারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মাইদুজ্জামান জানান, গত মঙ্গলবার সংগৃহীত ডিমের মধ্যে মদুনাঘাট হ্যাচারী ৬০.৫ বালতি শাহ মাদারী ২৫ বালতি মাছুয়াঘোনা ৩০ বালতি আইডিএফ ২৪.৫ বালতি, মোবারকখীল ২৪ বালতিসহ সর্বমোট ১৬৪ বালতি ডিম প্রতি বালতি ১০ কেজি হিসেবে ১৬৪০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। উল্লেখিত হ্যাচারীগুলোতে সংগৃহীত ডিম থেকে রেনু ফোটানোর কাজ চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম ক্যান্টেনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হালদা গবেষক ড.শফিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্স ল্যবরেটরীর সমন্ময়ক, হালদা গবেষক চবি প্রাণি বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মঞ্জুরুল কিবরিয়া, হালদা নদী থেকে গত মঙ্গলবার যে পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে তাকে নমুনা ডিম থেকে একটু বেশি বলে উল্লেখ করেছেন । তবে সামনের জোঁতে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//