মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সরকারি অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দ্রুত কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
দৈনিক দেশ তথ্য পত্রিকায় সংবাদ প্রচারের পর শুক্রবার সকাল থেকেই কয়েকজন রংমিস্ত্রি কাজ শুরু করে।
রংমিস্ত্রি জিয়াউর রহমান জানান, ‘‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী সঞ্চিতা খাতুনের নির্দেশে দৈনিক হাজিরায় কাজ শুরু করেছি।’’
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন বলেন, ‘‘গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নাজির আবু হানজালা ফোনে জানিয়েছেন যে মহিলা অধিদপ্তরের ভবনের রংকরণ ও মেরামতের কাজ শুরু হবে। তবে কাজের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটি বাস্তবায়ন করছে, সে বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, ‘‘২০২৩ সালে এই কাজটি করা হয়েছিল এবং এর বিলও পরিশোধ করা হয়েছে। তবে কাজ শেষ না হলে বিল দেওয়ার সুযোগ নেই। বিলের স্বাক্ষরে শুধু আমি নই, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল।’’
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মহেনাজ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবো।’’
উল্লেখ্যঃ ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও ইউএনও প্রীতম সাহার স্বাক্ষরিত কয়েকটি ভুয়া প্রকল্পের নামে প্রায় ১১ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সংবাদ প্রকাশের পরপরই প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও গোপনীয়তার বিষয়টি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post