Print Date & Time : 26 August 2025 Tuesday 12:40 pm

সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা হলেন ব্যারিস্টার আনিস

হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৫ হাটহাজারী আসন থেকে সপ্তম বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সংসদের বিরুধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার (২৮ জানুয়ারী) মাননীয় স্পীকারের আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব কেএম আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ, মা সাজেদা বেগম চৌধুরী। তার দাদা ছিলেন খান সাহেব আব্দুল হালিম চৌধুরী এবং নানা ছিলেন ড. মো. সানাউল্লাহ, বার-এট্-ল, পিএইচডি।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইসলামাবাদ কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসসি করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য কমনওয়েলথ বৃত্তি অর্জন করেন এবং ১৯৭২ সালে সেখান থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের (লন্ডন) লিংকনস্ ইন, থেকে র্বা-এ ডাক পান।

তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত হাটফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে একজন লেকচারার ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যে পূর্ব এংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন-২৮২ (চট্টগ্রাম-৫) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

এছাড়াও তিনি ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মাহমুদ ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে মাহমুদ পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পূর্বে, তিনি ১৯৮৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এ সময়কালে তিনি স্বল্পকালের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি ছিলেন। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//