Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 8:35 pm

সব প্রস্তুতি নেওয়ার পরও কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তলন হয়নি

সেলিম আহামেদ তাক্কু ॥ কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তলন হয়নি! কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ফারহান লাবিব বলেন, ‘মরদেহ উত্তোলনের জন্য সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া এ ধরনের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত ফেরত দেয়ার নিয়ম আছে। সে কারণে আজ মরদেহ তোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে।’ সব প্রস্তুতি নেয়ার পরও সূর্যাস্তের কারণে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়নি। কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ফারহান লাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য মঙ্গলবার বিকেলে কবর থেকে সেলিম হোসেনের মরদেহ তোলার কথা ছিল। এ জন্য কুষ্টিয়ার বাঁশগ্রামে কবরস্থানে যান পুলিশসহ স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। শেষ পর্যন্ত সূর্য অস্ত যাওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটসহ মরদেহ উত্তোলনকারী দল সেখানে যায়নি। জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে মরদেহ তোলা হতে পারে। ডা. ফারহান লাবিব বলেন, ‘মরদেহ তোলার জন্য সূর্যের আলো প্রয়োজন হয়। এ ধরনের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত ফেরত দেয়ার নিয়ম আছে।

‘সে কারণে আজ মরদেহ তোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে।’

৩০ নভেম্বর দুপুরে কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়।

১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়।

এই মৃত্যু নিয়ে পরে নানা প্রশ্ন ওঠে। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মরদেহ তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান।

চিঠিতে বলা হয়, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কবর থেকে মরদেহ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা খানজাহান আলী থানা থেকে একটি দল কুষ্টিয়া পৌঁছায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার কারণে তারা কবরস্থান পর্যন্ত যাননি।