বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, মদিনার সমাজে যারা অমুসলিম ছিলেন সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে রাসুল (সা.) স্বীকার করেছেন। তাদেরকে ধর্মচর্চার সুযোগ দিয়েছেন। এখানে সমান মর্যাদা সহকারে আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আপনারা করতে পারবেন, এই নিশ্চয়তা আমি আপনাদেরকে দিচ্ছি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত ধর্মালোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে গ্রহণ করার মানসিকতা ও মানবিকতা হলো সকল ধর্মের মূল মন্ত্র। সে আদর্শে আমরা সবাই অনুপ্রাণিত। সকল ধর্মে মানবতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, দুষ্টের দমনের কথা বলা হয়েছে এবং পশুত্বচর্চার বিরোধিতা করা হয়েছে। এই জায়গায় আমরা সবাই এক। মনুষ্য সমাজে ধর্ম চর্চার গুরুত্ব অনেক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র তাদের ধর্মীয় পরিচয় ভুলে গিয়ে মানুষ পরিচয় নিয়ে পাশাপাশি থাকবে, এই চেতনা ধারণ করা দরকার।
অনুষ্ঠানে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শাহীনুজ্জামান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন, ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখার আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ইসলামী ছাত্রশিবির ইবি শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি নূর আলম সহ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post