নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার কাটদহচর এলাকায় সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে মমতাজ বেগম ওরফে জাগা খাতুন নামের বিধবা বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে বস্তাবন্দি করে লাশ গুমের মামলায় নিহতের একমাত্র পূত্র ও দেবরসহ তিনজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেল ৪টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: রুহুল আমিন এর আদালত এরায় ঘোষনা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- (১) র্মিপুর উপজেলার কাটদহচর গ্রামের বাসিন্দা মৃত: ফজল বিশ্বাস ও নিহতের ছেলে মো: মুন্না বাবু (৩৫), ২. মৃত: ইনছার বিশ^াসের ছেলে ও নিহতের দেবর মো: আব্দুল কাদের (৫৫) এবং ৩. ০১নং আসামী মুন্না বাবুর বন্ধু মো: ইয়াাছিন আলীর ছেলে মো: রাব্বি আলামিন(৩২)। সবাই একই এলকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারী, বিকেল ৪টায় মমতাজ বেগম ওরফে জাগা খাতুন তার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এঘটনায় নিহতের একমাত্র ছেলে মুন্নাবাবু নিজের মা নিখোঁজের ৪দিন পর ২৫ জানুয়ারীতে মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এঘটনার প্রায় একমাস পর ২৩ ফেব্রæয়ারী তারিখে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশে সন্দেহ হলে নিহতের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে নিহতের ছেলে ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততাসহ তার চাচা আব্দুল কাদের ও বন্ধু রাব্বি আলামিনকে এ ঘটনায় জড়িত বলে উল্লেখ করেন।
গোয়েন্দা পুুলিশ বাকী দুইজনকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের মোটিভ উদ্ঘাটিত হয় এবং আটক আসামীরা স্বীকারোক্তি দেন যে, বিধবা মমতাজ বেগমমের স্বামীর অবর্তমানে তাহার কয়েককোটি টাকার জমি জায়গা ও পোড়াদহের কাপড় হাতে ৭/৮টি দোকান হাতিয়ে নিতে তার গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে পাশর্^বর্তী একটি পুকুর পারে পুতে রাখা হয়।
এমন স্বাীকারোক্তি দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারী বিকেলে মিরপুর থানা পুলিশ নিহত মমতাজ বেগমের বস্তাবান্দি গলিত লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতাল মর্গে প্রেরন করেন। এঘটনায় নিহতের ভাই তোরাব আলী বাদি হয়ে ২৪ ফেব্রæয়ারী রাতে মিরপুর থানায় তিনজনের নামোল্লেখসহ একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল মিরপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো: কায়েশ মিয়া ৩জনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার লোভে বিধবা বৃদ্ধাকে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে মুন্না বাবু, আব্দুল কাদেও ও রাব্বী আলামিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ
সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,৫ জুন ২০২৪

Discussion about this post