জামালপুরের মাদারগঞ্জে সোলাইমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ভবন মাত্র ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই অভিযোগ উঠেছে এলজিডি ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার জরাজীর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ক্লাস নেওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণে বরাদ্দ দেয় সরকার।
পরিত্যক্ত ভবনটি বিক্রি করতে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সুপারিশে উপজেলা প্রকৌশল দফতরকে মূল্য নির্ধারণের চিঠি পাঠায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভবনের মূল্য নির্ধারণ করে দিলে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা শিক্ষা কমিটি।
উপজেলা প্রকৌশল দফতরের বেঁধে দেওয়া সরকারি মূল্য দেখে অনেকেই দেশকে শায়েস্তা খাঁর আমল বলে উপহাস করেছেন। সরকারি মূল্যের এক টাকা বেশি দর হলেই বিক্রিতে বাঁধা থাকে না প্রকাশ্য নিলাম কমিটির। ফলে আলোচনা করে একটি চক্র এসব ভবন নামমাত্র মূল্যে সরকারের কাছ থেকে কিনে। এতে অনেক বড় অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
বুধবার (১২ এপ্রিল) নয়াপাড়া সোলাইমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটির ব্যাপারে নেগোসিয়েট ব্যর্থ হয়ে হট্টগোল পাকিয়ে নিলাম বাগিয়ে নেয় নেগোসিয়েট চক্রটি।
এক শিক্ষক বলেন, সরকারি পণ্য কেনার সময় যেমন দাম ছয়/সাত গুণ বাড়ানো হয়। একই ভাবে বিক্রির সময়ও ছয়/সাত গুণ কমানো হয়। সরকারি কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের পকেট ভরাতে গোপনে নিলাম দেন এবং নেগোসিয়েট চক্রগুলোকে লালন করেন। এজন্যই সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বিক্রিত মূল্য দেখে মনে হচ্ছে-দেশের বাজারে শায়েস্তা খাঁ’র আমল চলছে।
নিলাম কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, প্রকৌশল বিভাগ সরকারি মূল্য নির্ধারণ করেছেন। সেই মূল্যের সমপরিমাণ হলে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রিতে বাঁধা থাকে না। সরকারি মূল্যের ওপর দাম পাওয়ায় তা বিক্রি করা হয়েছে। তবে নিলামে নোটিশ ও ভবন নিলামের এষ্টিমেট (বাজেট) কপি চাইলে তিনি বলেন ঐটা আমি দিতে পারবো না।
ভবনের মূল্য নির্ধারণকারী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, মনগড়া নয়, সরকারি সিডিউল মতেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ভবন দেখে মাপার পরই সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি মূল্যে অতিক্রম হলেই প্রকাশ্য নিলামে বিক্রির নিয়ম আছে।
প্রকাশ্য নিলাম কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিলিসায় রিছিল বলেন, সরকারি মূল্যের ওপর হলে নিলামে বিক্রি করা যায়। নিলামে বিক্রি করা ভবনটি সরকারি মূল্য নির্ধারণ করেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে নিলামে কোনো অনিয়ম হলে তা অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুরের মাদারগঞ্জে সোলাইমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ভবন মাত্র ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই অভিযোগ উঠেছে এলজিডি ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার জরাজীর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ক্লাস নেওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণে বরাদ্দ দেয় সরকার।
পরিত্যক্ত ভবনটি বিক্রি করতে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সুপারিশে উপজেলা প্রকৌশল দফতরকে মূল্য নির্ধারণের চিঠি পাঠায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভবনের মূল্য নির্ধারণ করে দিলে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা শিক্ষা কমিটি।
উপজেলা প্রকৌশল দফতরের বেঁধে দেওয়া সরকারি মূল্য দেখে অনেকেই দেশকে শায়েস্তা খাঁর আমল বলে উপহাস করেছেন। সরকারি মূল্যের এক টাকা বেশি দর হলেই বিক্রিতে বাঁধা থাকে না প্রকাশ্য নিলাম কমিটির। ফলে আলোচনা করে একটি চক্র এসব ভবন নামমাত্র মূল্যে সরকারের কাছ থেকে কিনে। এতে অনেক বড় অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
বুধবার (১২ এপ্রিল) নয়াপাড়া সোলাইমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটির ব্যাপারে নেগোসিয়েট ব্যর্থ হয়ে হট্টগোল পাকিয়ে নিলাম বাগিয়ে নেয় নেগোসিয়েট চক্রটি।
এক শিক্ষক বলেন, সরকারি পণ্য কেনার সময় যেমন দাম ছয়/সাত গুণ বাড়ানো হয়। একই ভাবে বিক্রির সময়ও ছয়/সাত গুণ কমানো হয়। সরকারি কিছু অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের পকেট ভরাতে গোপনে নিলাম দেন এবং নেগোসিয়েট চক্রগুলোকে লালন করেন। এজন্যই সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বিক্রিত মূল্য দেখে মনে হচ্ছে-দেশের বাজারে শায়েস্তা খাঁ’র আমল চলছে।
নিলাম কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, প্রকৌশল বিভাগ সরকারি মূল্য নির্ধারণ করেছেন। সেই মূল্যের সমপরিমাণ হলে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রিতে বাঁধা থাকে না। সরকারি মূল্যের ওপর দাম পাওয়ায় তা বিক্রি করা হয়েছে। তবে নিলামে নোটিশ ও ভবন নিলামের এষ্টিমেট (বাজেট) কপি চাইলে তিনি বলেন ঐটা আমি দিতে পারবো না।
ভবনের মূল্য নির্ধারণকারী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, মনগড়া নয়, সরকারি সিডিউল মতেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ভবন দেখে মাপার পরই সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি মূল্যে অতিক্রম হলেই প্রকাশ্য নিলামে বিক্রির নিয়ম আছে।
প্রকাশ্য নিলাম কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিলিসায় রিছিল বলেন, সরকারি মূল্যের ওপর হলে নিলামে বিক্রি করা যায়। নিলামে বিক্রি করা ভবনটি সরকারি মূল্য নির্ধারণ করেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে নিলামে কোনো অনিয়ম হলে তা অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post