নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দৈনিক জনতা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য শরিফ মাহমুদকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত ও নগদ টাকা ছিনতাইসহ তার মোবাইল ফোন ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গতকাল রবিবার বিকেল ৫ টার দিকে সাংবাদিক শরিফ মাহমুদ কুষ্টিয়ার হরিশংকরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সোহেল রানার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হন। এ সময় হামালাকারী ১) সোহেল রানা(৪০), পিতা- জাহাঙ্গীর আলম, ২) জাহাঙ্গীর আলম(৬৫), পিতা- অজ্ঞাত, উভয়সাং- ৮, এস.খান সড়ক, হরিশংকরপুর, ডাকঘর- মোহিনী মিলস, থানা ও জেলাকুষ্টিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জন দুবৃত্ত তার নিটক থেকে কেড়ে নিয়ে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্যামসং স্মার্ট ফোন আছাড় দিয়া ভেঙ্গে দেয় এবং ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। শরিফ মাহমুদ বলেন, গত প্রায় ২ বৎসর পূর্বে বিবাদী আমার নিকট হইতে নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করে, ছয়মাস পর ফেরৎ দেবে বলে। অতঃপর উক্ত সময় অতিবাহিত হয়ো গেলেও বিবাদী আমার সমূদয় টাকা আমাকে ফেরৎ না দিয়া আজ দেব কাল দেব বলিয়া অদ্য পর্যন্ত আমাকে ঘুরাইতেছে। উল্লেখ্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের লইয়া বিষয়টি সমাধান করিতে গেলে বিবাদী হাজির না হওয়ায় তাহারাও উক্ত বিষয় সমাধান করিতে ব্যর্থ হয়। অতঃপর অদ্য ১২/১২/২১ খ্রিঃ তারিখ বিকেল ৫ টার সময় বিবাদীর বাড়িতে তার নিকট হতে উক্ত টাকা চাইতে গেলে সে পূণরায় সময় দাবী করিয়া টালবাহানা করতে থাকে এবং এক পর্যায় বিবাদীগণ আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং আমার পকেটে রক্ষিত ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্যামসং স্মার্ট ফোন আছাড় দিয়া ভাঙ্গিয়া ফেলে এবং আমার কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। উক্ত ঘটনায় আমি থানায় মামলা করতে চাইলে বিবাদীগন বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Discussion about this post