কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রুবেলের হত্যাকাণ্ডের ১বছর পার হলেও এখনো রহস্য উন্মোচিত হয়নি। দীর্ঘ এক বছরে আমরা জানতেই পারলাম না খুনি কারা। অথচ এতোদিন ধরে ‘তদন্ত খেলা’ চলছেই। তদন্তকারী সংস্থা বলে দিক,এটির রহস্য উন্মোচন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, আমরা বলতে চাই, সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোনো প্রভাবশালীর বিপক্ষেও যায়, তাহলেও উন্মোচন করা হোক।
শনিবার ( ৮ জুলাই) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের আয়োজনে প্রয়াত হাসিবুর রহমান রুবেলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ডাক্তার গোলাম মওলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক
আনিসুজ্জামান ডাবলু বলেন, সাংবাদিকরা কেন বিচার পাবে না? সমাজের অন্য সবাই বিচার পেলে সাংবাদিকদের বিচার পেতে সমস্যা কোথায়? আমরা আশা করি, তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আন্তরিক হলে
এ ঘটনার বিচার হওয়া সম্ভব। অবিলম্বে সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের হত্যা মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় না আনা হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা এডিটরস ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক কুষ্টিয়া দর্পণের সম্পাদক মজিবুল শেখ, বাংলাভিশন টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসান আলী, জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সহসভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এসময় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ
জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
এদিকে রুবেল হত্যা মামলা চলমান ও তদন্তাধীন থাকলেও মূল ঘটনা এখনো অন্ধকারে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। পরবর্তীতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন। তবে এই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ জুলাই রাত নয়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে পত্রিকা অফিসে ছিলেন হাসিবুর। তখন তার মুঠোফোনে একটি কল পেয়ে অফিস থেকে বের হয় নিখোঁজ হন। নিখোঁজের চারদিন পর ৭ জুলাই দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার হয় কুমারখালী উপজেলার তেবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন গড়াই সেতুর নীচ থেকে। এঘটনার পর নিহতের চাচা মিজানুর রহমান থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৯ জুলাই ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post