(মন্ত্রীর ছোট ভাইয়ে স্বীকারোক্তির ক্লিপ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল)
মেহেরপুর প্রতিনিধি: সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সহধর্মীনী মোনালিসা গত ১০ বছরে হাজার অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন কিনেছেন কানাডায় বাড়ি বলে খোদ স্বীকার করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল।
আর এই স্বীকারক্তি একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মন্ত্রী দম্পত্তি গত ১০ বছরে মেহেরপুরের অনলাইন ক্যাসিনো থেকে শুরু করে এমন কোন খাত নেই যেখানে দুনীর্তি করেননি। আর এসকল কর্মকাণ্ড করে হয়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক। কানাডায় বাড়ি কিনেছেন বলে যে খবর রটেছিলো। সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন মন্ত্রীর ছোট ভাই ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল।
শুধু কানাডায়ই না, বিভিন্ন যায়গায় বাড়ি কিনেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে অডিও ক্লিপে অপর প্রান্তে কে কথা বলছেন তা জানা যায়নি। হতে পারে কোন গোয়েন্দা কর্মকর্তা অথবা সাংবাদিক।
জেলার মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধন, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খোকন এরা সকলেই অনলাইন ক্যাসিনোর সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
অনলাইন ক্যাসিনোর এজেন্টরা মৃদুল, বাঁধন, খোকন ও মোনালিসার সাথে সখ্যতা করে মেহেরপুরকে অনলাইন ক্যাসিনোর স্বর্গে পরিণত করেছিলেন। যার প্রভাব এখনো বিদ্যামান। মন্ত্রী দম্পত্তির সুপারিশে অনলাইন জুয়ার মূল হোতারা সবসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায়।
অডিও ক্লিপে আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার নামে জেলা বিএনপির এক বড় নেতা ও তার ভাই কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন বলে অভিযুক্ত করেন সরফরাজ হোসেন মৃদুল।
গুজব উঠেছিল এর আগেও ওই নেতা সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে ভারতে পার করে দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তিতে ঢাকা থেকে র্যাব সাবেক মন্ত্রী ফরাহদ হোসেনকে আটক করে।
মেহেরপুর জেলা বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন জানান, দলের নেতারা এসব কাজের সাথে জড়িত কিনা সে ব্যাপারে সঠিক ভাবে তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি করছি। যেসব নেতা কর্মীরা এসব কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানান নেতাকর্মীরা।
মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট -০৩ নাহিদ হোসেন সানি জানান, আপনারা জানেন মেহেরপুর জেলায় বিএনপি’র দুইটা গ্রুপ ২০১১ সালে এ গ্রুপের সৃষ্টি হয় তবে বিএনপির দুঃসময়ে ওই নেতা দলের হাল ধরেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এটার সঠিক তদন্ত করে তারা যদি দোষী হয় তাদেরকে সাংগঠনিকভাবে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
এহ/13/11/24/ দেশ তথ্য
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post