এক সময় সে ছিল তার প্রীয়তমা স্ত্রী। তালাক নামক শব্দের ব্যবহারে তারা আজ কেউ কারো নয়। স্বামীর রোষানলে পড়ে সংসার ভেঙ্গে সরকারি জমিতে একটি ছোট্ট টিনের ঘরে তুলে বসবাস করছিল স্ত্রী। তালাক দেওয়া সেই স্বামী অন্যের সহায়তায় ভূমিহীন ওই নারীকে উচ্ছেদ করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
ভুক্তভোগী নারীর নাম সেলিনা বেগম (৫০)। তার সেই সাবেক স্বামীর নাম ফজের আলী (৬০)। ওই নারী প্রায় এক যুগ ধরে ওই সরকারি জমিতে একটি টিনের ঘর করে বসবাস করে আসছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেলিনা বেগমদের চলাচলের রাস্তা বালুর বস্তা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে সেলিনা বেগম। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফজের আলী ও তাঁর ছেলে সজল দীর্ঘদিন ধরে সেলিনা বেগমের বসবাসের জায়গা নিয়ে তিনি এবং তাঁর মেয়ের উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে।গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) আনুমানিক দুপুর ১২ টার দিকে ফজের আলী ও তাঁর ছেলে সজল সেলিনা বেগমের মেয়ে জেসমিনের ঘর ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করতে থাকে।এসময় সেলিনা বেগম বাঁধা দিলে তাঁরা তাকে (সেলিনা), তাঁর মেয়ে জেসমিন ও কোলের শিশু নাতিকে মারধর করে আহত করে। সেলিনা বেগম বলেন, আমি ২০০৮ সাল থেকে এই সরকারি জমিতে বসবাস করে আসছি।আমাকে এখান থেকে উচ্ছেদ করে বাস্তুহারা করার জন্য আমার সাবেক স্বামী ফজের আলী ও তার ছেলে সজল নানাভাবে আমাদের নির্যাতন করে আসছে।আমাদের সাহায্য করার মতো কেউ নেই। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।আমি ভূমিহীন। আমি এবং আমার মেয়ে জেসমিন এই এলাকার ভোটার। এ বিষয়ে ফজের আলী ও তাঁর ছেলের কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাঁদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
এবি/দৈনিক দেশতথ্য/২০ অক্টোবর/২০২১

Discussion about this post