নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একদিনে ৪ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে চিরকুট লিখে লুৎফর রহমান জনি (৩৫) নামে এক ব্যক্তি আত্নহত্যা করেছেন।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে তিনি আত্নহত্যা করেন।
গত ৩৫ দিন আগে একই ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করেছিলেন তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী স্বর্ণা।
নিহত লুৎফর রহমান জনি সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকার প্লট ও ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি আউয়াল মিয়ার ছেলে। মৃত্যুর আগে লুৎফর রহমান জনি তার বাবা-মার কাছে ক্ষমা চেয়ে, ‘স্ত্রী স্বর্ণাকে ছাড়া একটা দিন এক বছরের মত লাগে, তার মৃত্যুর ৩৫ দিন আমার কাছে ৩৫ বছর মনে হয়েছে। আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখবেন। স্বর্ণার পাশের খালি জায়গাটায় আমারে কবর দিয়েন। আমার ছেলে শোয়াইব এর প্রতি খেয়াল রাখবেন।’ এমন চিরকুট লিখে যান’।
অপর দিকে, সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া আইলপাড়া এলাকায় জহির মিয়ার বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী নাসরিন আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূ একই দিন ভোরে ফঁাসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করেছে।
একই দিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে কোমল মিনি বাস স্ট্যান্ড থেকে মছিবুর রহমান (৩৫) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মছিবুর রহমান ঢাকার
বাড্ডা থানার মগারদিয়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি একটি কোমল মিনি বাসের হেলপার ছিলেন। রাতে বাসের ভিতরেই ঘুমিয়ে ছিলেন।
সকালে তাকে মৃত পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানায়।
এছাড়াও বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ আটি হাউজিং এলাকার ৭ নম্বর গলিতে স্বাধীন (১১) নামে এক বালক ঘরের বারান্দায় গ্রিলের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করে। নিহত স্বাধীন নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি থানার কল্যাণপুর এলাকার ফুয়াদ আলির ছেলে। বালকটি পরিবারের সঙ্গে হাউজিংয়ে জাহাঙ্গীরের বাড়ির ৬ তলায় ভাড়া থাকত।
বালকটি কেন আত্নহত্যা করেছে তার কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, লাশ চারটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চারটি অপমৃতুর মামলা করা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/