সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ফারজানা আক্তার (৪০) নামের এক নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ফারজানা আক্তার আদমজী নগরের সুমিল পাড়ার হোসেন আলম মেম্বারের মেয়ে। তার স্বামীর নাম রুহুল আমীন। তার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ রিবাজ করছে। এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরো একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত নারীর স্বজনরা জানায়, শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ওই গৃহবধূর বুকে ব্যাথা উঠলে তারা তাকে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগি হার্ট ফেল করেছে জানিয়ে তাৎক্ষণিক দুটি ইনজেকশন দেয়। পরে অবস্থার আরও বেগতিক দেখলে এর কিছুক্ষণ পর রোগীকে আইসিইউতে নিয়ে গিয়ে আরও ১০টি ইনজেকশন দেয়। চিকিৎসক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। এ সময় স্বজনরা বুঝতে পারে রোগী কোনো শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে না।
এদিকে এই মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে ওই গৃহবধুর ভাসুরের ছেলে আনু খান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কি কি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল? কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয়নি। এরা এর পূর্বেও হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, ভুল চিকিৎসায় ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে তা ভুল কথা। কার্ডিয়াক সমস্যা নিয়ে ওই রোগী শনিবার ভোরে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মারা যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হলে থানা অভিযোগ দিতে হবে এবং আমাদের বরাবর একটি লিখিত চিঠি পাঠালে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post