মুহাম্মাদ রুমান দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে দ্রুতগামী লেনে এক্সিট পয়েন্ট না থাকায় ডিভাইডারে আটকা পড়ে বিড়ম্বনায় যাত্রীরা।
দূরপাল্লার গাড়ীগুলো ঢাকায় প্রবেশের মুখে শিমরাইল মোড়ে দ্রুতগামী লেনের মাঝখানে নামিয়ে দিচ্ছে। চার লেনের মাঝখানের ডিভাইডার দুটি পাঁচ ফিট উঁচু এবং প্রায় এক মাইল দীর্ঘ থাকায় যাত্রীরা রাস্তা পার হতে পারে না।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় আদমজী গ্যাসলাইন এলাকার এক মহিলা শিশু বাচ্চা নিয়ে ডিভাইডার পার হতে বিড়ম্বনায় পড়েন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ অফিসের সামনে ডিভাইডারের (সড়ক বিভাজক) এক্সিট পয়েন্ট বন্ধের পর গত দুই মাস ধরে যাত্রীরা ভ্যানের পাটাতনে ঝাম্প দিয়ে ও অটোরিকশার সিটকে মই বানিয়ে ডিভাইডার পার হচ্ছে। পারাপারের এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন যাবৎ রবিউল নামে এক যুবক দুই পাশে দুইটি মই দিয়ে যাত্রীদের ডিভাইডার পার করছিল্।
বিনিময়ে পাঁচ টাকা করে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হত। ঝুঁকিপূর্ণভাবে ডিভাইডার পার করে টাকা নেওয়ার কারনে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের পুলিশ তাকে আটক করে।
মই দিয়ে রাস্তা পারাপার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয় ও নেটিজনেরা বিরুপ মন্তব্য করেন।
একজন ফেসবুকে পোষ্ট করে জানান, “মই দিয়ে পার করা অন্যায়ের কারণ হচ্ছে মানুষের ভূগান্তি, আর মানুষের ভূগান্তি কারণ হচ্ছে সড়ক বিভাগের দূর্দরশীতার অভাব। অতিদ্রুত এই জায়গায় কয়েকটি প্রক্সি এক্সিট পয়েন্ট বের করার ব্যবস্থা করা হোক।”
কাঁচপুর হাইওয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ এ কে এম শরফুদ্দিন জানান, “ আজ সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৫টি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে দ্রুতগামী লেনে যাত্রী নামানোর কারনে ৫৯টি মামলা হয়েছে।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, “এক্সপ্রেস হাইওয়েতে এক্সিট পয়েন্ট আছে। এখানে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। তাছাড়া একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেটি হলে সকল সমস্যার সমাধান হবে।”
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post