মুহাম্মাদ রুমান দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুলছাত্রী স্বপ্নার লাশ উদ্ধারের ১৫ দিন হয়ে গেলেও ঘাতক চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। স্বপ্না হত্যার ঘাতক চিহ্নিত ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী ও তার পরিবার।
গতকাল সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আদমজী নগর মার্চেন্ট ওয়ার্কারস (এম ডব্লিউ) উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সপ্না আক্তার (১৪) গত ৩০ এপ্রিল সকালে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের তিনদিন পর ২ মে স্বপ্নাদের বাড়ির বসত ঘরের ১০ মিটার দূরে একটি পরিত্যক্ত ঘরের পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা স্কুল ড্রেস পড়া অবস্থায় স্বপ্নার বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের দুই দিন পর হত্যার কোনো ক্লু না পেয়ে ৪ মে নিহতের মা শাহিন আক্তার নেহা বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
ঘটনার দিন ৩০ এপ্রিল একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, স্বপ্না বাড়ি থেকে সকাল ৬টা ৩৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ডে স্কুল ইউনিফর্ম পরে কাঁধে একটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে হেঁটে বের হয়। সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে রিকশাযোগে বাড়ির সামনে এসে নেমে রিকশা ভাড়া দিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যায়। এরপর এই পথ দিয়ে স্বপ্নাকে আর বের হতে বা প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ নিহত স্বপ্নার বাবা দেলোয়ার হোসেন খোকনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। মামলা দায়েরের পর তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। সন্দেহবশত তাকে দুইদিন থানায় আটক রাখা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোজাম্মেল হক জানান, স্বপ্না হত্যাকান্ডে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে এবং হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত স্বপ্না হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবি, সুষ্ঠু বিচার ও নিরপরাধ কাউকে হয়রাণী না করার দাবি করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//