সিলেট অফিস : কোটা বিরোধী আন্দোলনে সিলেট মহানগরীর আখালিয়ায় গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে আহত হন নাঈমুর রহমান নিজু (২৩)। তার শরীরের পিঠে ৫৩টি গুলি সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিতে আহত অবস্থায় বর্তমানে তিনি সিলেটের বটেশ্বরস্হ সিএমএইচএ চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
এর আগে তিনি সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্তমানে সিএমএইচ-এ চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা ধীরে ধীরে তার শরীর থেকে অপারেশনের মাধ্যমে গুলি অপরাসন করছেন। নিজু সিলেট মেট্টোপলিটন ইউনিভার্সিটির ৪৬নং ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তার স্ত্রী জাকিয়া আক্তার (২৩) সিলেট ইন্টারন্যাশনাল কলেজের ৩২নং ব্যাচের শিক্ষার্থী। গত ১৮ জুলাই সিলেট নগরীর আখালিয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় মাথা ও শরীরের গুলি বিদ্ধ হন জাকিয়া। গত দু’দিন আগে সিলেট সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা জাকিয়ার মাথা থেকে ১৬টি গুলি অপারেশনের মাধ্যমে বের করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।
গুলিবিদ্ধ জাকিয়া ও নাঈমুর দু’জনই শারীরিক ভাবে তারা এখনো সুস্থ হতে পারেননি। তারা নববিবাহিত দম্পত্তি। তারা দু’জন এক সাথে আখালিয়ায় আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে কিছু দিন আগে তাদের দু’জনকে সিলেটের বটেশ^রস্থ সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।
নাঈমুর রহমান নিজু এখনো সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের বাসা সিলেট নগরীর মেজরটিলা এলাকায়। কানাইঘাট থানার সাতবাক ইউনিয়নের জুলাই গ্রামের বাসিন্দা তারা। তারা দু’জন নিজ উদ্যোগে কোটা বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২৬ আগষ্ট ২০২৪

Discussion about this post