সিলেট অফিস: সিলেট বিভাগজুড়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হবে। আর নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী দুইদিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে আগাম বন্যার এক পূর্বাভাসে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান সাক্ষরিত হাওর অঞ্চলের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যের বরাতে জানানো হয়, আগামী ৪৮ ঘন্টা (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ে সিলেট জেলার সীমান্ত সংলগ্ন সুরমা নদীর কানাইঘাট, লুভাছড়া নদীর লুভাছড়া, সারিগোয়াইন নদীর সারিঘাট ও গোয়াইনঘাট পয়েন্টে পানি সমতল স্বল্পমেয়াদে প্রাকমৌসুমী বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত চব্বিশ ঘন্টায় সিলেটের জৈন্তাপুরের লালাখাল স্টেশনে ৭০ মিলিমিটার, জকিগঞ্জ পয়েন্টে ৬৮ মিলিমিটার, বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে ৫৪ মিলিমিটার, কানাইঘাট পয়েন্টে ৫১ ও সিলেট শহর পয়েন্টে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
একই সময়ে ভারতের আসামের শিলচরে ৬২ মিলিমিটার এবং মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এবার বর্ষায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। আর বাংলাদেশের জন্য খবর হলো, এ দেশে বর্ষায় বৃষ্টি যেমন বেশি হবে, তেমনি বাংলাদেশের উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতেও বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বর্ষায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ- সিলেট বিভাগে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে। বরং অন্যান্য বছর যে বন্যা হয়- তা এবার আরও ব্যাপক রূপ নিতে পারে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানের মেঘালয়ে এই মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশংকা আছে। সুনামগঞ্জে ওই সময়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে এবং বন্যার আশংকাও রয়েছে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২ মে ২০২৪

Discussion about this post