শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট: শনিবার রাতে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আসছে সীমান্তের ওপার হতে ভারতীয় গরু। এ খবরে আসন্ন ঈদের বাজারে দেশী গরুর বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।
দেশী গরুরর খামারিরা দিয়েছে মাথায় হাত। ভারতীয় গরু আসলে খামারে প্রতিপালন করা গরু কম মূল্যে বিক্রি করতে হবে। এতে করে গরু প্রতিপালনের খচর উঠবে না। ইউক্রেন – রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে ডলারের দাম আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পশু খাদ্য ও ঔষধপত্র চড়া দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। তাতে করে পশুপালনের ব্যয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
লালমনিরহাট প্রাণ সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় খামারি ও পারিবারিক খামারি রয়েছে প্রায় ১৫ হাজারের উপরে। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রায় এক লাখ ৮৫ হাজারের উপরে গরু, ছাগল, খাসি, ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু এ জেলার চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায় যাচ্ছে। তবে গত বছরের লাম্বিং রোগের কারণে গরুর খামারিরা কিছুটা বে কায়দায় পড়ে ছিল। এবারে এই রোগের পাদুরভাব জেলায় নেই বলতেই চলে। বৈশ্বষিক অর্থনৈতিক কারণে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে বিদেশ হতে আমদানি করা গবাদিপশু কাদ্য ও ঔষধের দাম বাজারে কিচুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পশু প্রতিপালনের ব্যয় বেড়েছে। এমন অবস্থায় ভারতীয় গরু অবৈধ পথে আসলে খামারি গণ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
এদিকে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথে শুক্রবার রাতে ঝড় বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে চোরাকারবারিরা কাঁটাতারের ওপার হতে শতশত গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়েছে।
জাওরানি সীমান্তের ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান মন্ডল জানান, শুক্রবার রাতে ওপার হতে গরু এসেছে। এভাবে গরু আসলে দেশী খামারি ও পারিবারিক খামারিরা তাদের প্রতিপালন করা গরুরর দাম পাবে না।
সীমান্তের চলবলা, ভেলাগুড়ি, জাওরানি, চামটা, দৈইখাওয়া, গোড়ল, ভেলাবাড়ি, দূর্গাপুর দিয়ে দেদারচ্ছে আসছে গরু। রবিবার সকালে ভেলাগুড়ি সীমান্তে চোরাইপথে আসা বেশ কিচু গরু পরিত্যক্ত ধান খেতে চড়ে বেড়াতে দেখা গেছে।
লালমনিহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর সরকার জানান, জেলায় কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশুর কোন সংকট নেই। পর্যাপ্ত পরিমানে পশু মজুদ রয়েছে। চাহিদার তুলনায় কয়েক হাজার পশু প্রতিপালন হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ হতে গরু অবৈধ পথে আসলে খামারিরা মারাত্নক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মূখিন হবেন। তাই লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রাণি সম্পদ বিভাগ লালমনিরহাট ৫১ ও লালমনিরহাট ৬১ বিজিবি ও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি কে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। যাতে করে আসন্ন ঈদের আগে কোন অবস্থায় সীমান্ত দিয়ে গরু না ঢুকে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post