জেলার জাওরানি সীমান্তে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের এক নেতার নেতৃত্বে অবৈধ চোরাকারবারি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে সে হয়ে উঠেছে মাফিয়া ডন। গড়ে তুলেছে অবৈধ সম্ভ্রাজ্য। প্রতি মাসে এক হাজার কোটি কোটি টাকার অবৈধ সীমান্ত ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে সে। অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ছাত্র সংগঠন কে ব্যবহার করছে। তার ও তার পরিবারের প্রকাশ্য এক টাকার কোন ব্যবসা নেই। অবৈধ আয়ে নিজ ভিটায় গড়েছে বিশাল বিশাল সুরম্য বাড়ি। অথচ সে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ। সে ঐ ইউনিয়নের জাওরানি ছাতুরদিঘী সীমান্তে দুর্ধর্ষ বাহিনী গড়ে তুলেছে। এই সব দুর্ধর্ষ বাহিনী দিয়ে গড়ে তুলেছে ২০ টি কোটা ( বাঁশের চরকা) প্রতিটি চরকায় কমপক্ষে ৫০ জন করে দুর্বৃত্ত কাজ করে। এরা প্রতিরাতে বাঁশের চরকা দিয়ে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার ওপার হতে শতশত গরু, মাদক, বিস্ফোরক সহ নানা অবৈধ পণ্য সামগ্রী দেশে পাচার করে নিয়ে আসে। দেশ হতে ওপারে পাচার করছে নারী, শিশু, স্বর্ণ,রৌপ্য, ইউরিয়া সার, শ্যালোইঞ্জিন, সৌরপ্যানেল সহ দামী দামী বিদেশি পণ্য। যাহা বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) খরচ করে নিয়ে আসে। এতে করে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধ পণ্য, স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা, পিতল, কাঁসা, ডলারের বিপরীতে ভারত হতে আসতে গরু, মদ, গাঁজা, ফেন্সিডিল, বিস্ফোরক, ক্ষুদ্র অস্ত্র ইত্যাদ্দি।
ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত আর্মি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, এই সীমান্তে চোরাকারবারি গণ বেপরোয়া। তারা সব সময় সশস্ত্র অবস্থায় চলাফেরা করে। বিজিবিরাও কখনো কখনো জিম্মি হয়ে পড়ে। কিছু দিন আগে বলাইয়েরহাট সীমান্তে বিজিবির উপর আক্রমণ করে বসে ছিল। এসময় ৩৮ রাউন্ড গুলি করতে বাধ্য হয় বিজিবি। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, তিনি চোরাকারবারি বন্ধ সোচ্চার। নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে সীমান্তে অবৈধ ব্যবসায় বিজিবিকে সহায়তা করতে গিয়ে তার পরিবার চোরাকারবারি দ্বারা আক্রান্ত হয়। হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছেন বলে জানান। এই ঘটনায় ছাত্র লীগের ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ জানান, তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার। তার বাবা একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। তার পরিবারের সুরম্য বাড়ি ও তার ব্যবহ্নত দামি গাড়ির আর্থিক উৎস কি, তার বিপরীতে পরিবার এবং তার আয়কর রিটার্ন দাখিল করে কিনা, প্রশ্ন করা হলে সুকৌশলে এড়িয়ে যায়।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//