৬ আগষ্ট সকালে কুষ্টিয়া বারো শরীফ দরবারের সামনে অজ্ঞাত এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্হানীয়রা।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে।
লাশটির চেহারা দেখে চেনার উপায় ছিল না। পরবর্তী সময়ে মর্গে এসে লাশটি শনাক্ত করেন বৃদ্ধা নানী। কিশোরী মেয়েটির নাম মায়া খাতুন। বয়স ১৬ বছর।
ময়না তদন্ত শেষে লাশটি স্বজনদের কাছে দেয়া হলে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে দাফন করা হয়। ।
মায়ার নানী আনজু বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০৮ সালে তার মেয়ে শিরিনা খাতুনের সঙ্গে পাবনার আবুল কালামের বিয়ে হয়। বেশ কয়েক বছর সংসার করার পর মেয়ে জামাইয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তখন মায়ার বয়স মাত্র ৯ বছর। এরপর মেয়ে জামাই উভয়ই অন্যত্র বিয়ে করে সংসার শুরু করে। মায়ার দায়িত্ব নেয়নি কেউই। বাধ্য হয়েই সে নানীর কাছেই থেকে যায়। নানি অন্যের বাসা বাড়ীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ কারণে নাতিকে ঠিকমত দেখভাল করতে পারেননি। একপর্যায়ে ২০২৩ সালে কুষ্টিয়া কোট স্টেশন এলাকার চা বিক্রেতা সোহেল কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হয় মায়া খাতুন। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেলকে আটক করে কোর্টে সোপর্দ করে। জামিনে বের হয়ে এসে সোহেল প্রায়ই মায়াকে উত্যক্ত করতো এবং হুমকি দিত। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও হুমকি দিয়েছিল বলে জানান আনজু বেগম। সোহেলের বাড়ি থানাপাড়া গড়াই সেতুর নিচে।
অপর এক স্বজন রেবেকা খাতুন বলেন, কুষ্টিয়া কোট স্টেশন এলাকার কিছু মানুষের সাথে পরিচয় ছিল মায়ার। নেশার সাথে জড়িত ওই সমস্ত মানুষেরাও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। তাদের জিঞ্জাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা সম্পর্কে তথ্য উদঘাটন করা যেতে পারে। তাদের মধ্যে অন্যতম কুষ্টিয়া কুটিপাড়া বড়ড্রেনের মোড়ের আনোয়ার। আনোয়ার কুটিপাড়ায় বোনের বাড়িতে বসবাস করলেও মোল্লাতেঘোরিয়া ক্যানাল পাড়ার নিজাম ডাকাতের পুত্র। টোকাই হাবিব কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও মায়া হত্যা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় মুখে জখমের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায় নি। ইউডি করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রির্পোটে হত্যার ঘটনা নিশ্চিত হলে মামলা করা হবে।