সুদীপ্ত শাহী, লালমনিরহাট ।।কদমতলি সেতু রক্ষণাবেক্ষন ও সঠিক তদারকির অভাবে অর্ধশতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সেতুর নিচের নদীর বালু উত্তোলন করায় সেতুর বামগার্ডর ধসে গেছে। নদীর মুলস্রোতধারায় ভরাট করে অবৈধ দখল হয়ে গেছে। স্বর্ণামতি সতী নদীটি স্বকীয়তা ও জীববৈচিত্রতা ধ্বংস হয়ে গেছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুর ও ভাদাই ইউনিয়নের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে স্বর্ণামতি বা সতী নদীতে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা খরচ করে একটি বিশাল সেতু নির্মাণ করে দেয়। এই সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় সাপ্টিবাড়ি, সারপুকুর, ভাদাই, মহিষখোচা ও পলাশি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগে লাগে আধুঁনিকতার ছোঁয়া। তারা সহজে তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য, ব্যবসাবাণিজ্যে পরিবর্তন আসে। তৈরি হয় কর্মসংস্থান। দাম বেড়ে যায় কৃষি ও বাসযোগ্য জমির। একটি সেতুর অভাব এই অঞ্চলের মানুষের দূঃখছিল। সেতু নির্মিত হওয়ায় ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। গড়ে উঠে ছোট ছোট ক্ষুদ্র শিল্প।
দীর্ঘদিন সেতুটি সংস্কারেও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নদীর তলদেশের বালু অপরিকল্পিত ভাবে উত্তোলন করা হয়। এই বালু বিক্রি করে একটি চক্র সেখান হতে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। এমন কী নদীর বালু তুলে নদীর মূল¯্রােতধারা ভরাট করে নিয়েছে দখলদার চক্র। এই দখলদার চক্র তাদের অবৈধ কর্মকে বৈধতা দিতে ধর্মীয় অনুভুতি কাজে লাগিয়ে অপকর্ম জায়েজ করেছে। সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতে বালু ও নদীর জমি দখল করতে সেখানে তৈরি করা হয়েছে কওমী ও হেফজ মাদ্রাসা। বর্তমানে মাটি ভরাট করে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে নদীর তলদেশের মূল¯্রােতধারার জমি দখল করেছে চক্রটি। স্থানীয় প্রশাসন ভুমি অফিস, উপজেলা প্রশাসন কে ম্যানেজ করে এই কোটি কোটি টাকার অবৈধ বালুর ব্যবসাকে বৈধ করা হয়েছে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জিএম শরওয়াকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন বিয়টি যদি জায়গার নাম উল্লেখ করে ম্যাসেজ করে দিতেন।
আর//দৈনিক দেশতত্য//১০ সেপ্টেম্বর-২০২২
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post