দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সংসদীয় আসন-৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো: হেলালুজ্জামান এবং কুষ্টিয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনকে শোকজহ নোটিশ দিয়েছিলেন। তাদেরকে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে কারন দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের কার্যালয়ে হাজির হন। এরপর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো: হেলালুজ্জামান আনীত অভিযোগের দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। উপপরিচালক মো: হেলালুজ্জামান বলেন, অনুসন্ধান কমিটির বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে আর অজ্ঞাতসারে যে নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গ হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছি। তিনি বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো-‘শিক্ষক ও ইমামদের ডেকে নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে মিটিং করে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার ও প্রচারনা করার নির্দেশ দেয়া।
একই ভাবে অপর নোটিশ প্রাপ্ত কুষ্টিয়া-২(মিরপুর-ভেড়ামারা) অঞ্চলের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন রবিবার সকাল ১১টায় স্ব-শরীরে হাজি হয়ে শো-কজের লিখিত জবাব দেয়ার কথা থাকলেও তিনি আইনীবীর মাধ্যমে অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে লিখিত জবাব দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করেন।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো: রেজওয়ানুজ্জামান সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর দুপুর ১টায় অভিযুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন নিজের দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমার আবেদন করেন। এবিষয়ে জানা গেছে সিদ্ধান্ত সহ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে প্রেরন করবেন অনুসন্ধান কমিটি।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিনের কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো- ‘নির্বাচনী এলাকার ১৪দলীয় মনোনীত ও নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ব্যক্তিগত অনুভুতিতে আঘাত করে শিষ্টাচার বহির্ভুত ও উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান, তার নির্বাচনী এলাকায় সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকান্ডের ঘটনায় জোট প্রার্থীকে জড়িয়ে হিংসাত্মক আক্রমনাত্মক বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন।
এসব বিষয় ইতোমধ্যে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদে প্রকাশ পেয়েছে। এভাবে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে কার্যত: অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচনী পরিবেশকে ঝুকিপূর্ন করে তুলেছেন’।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post