খালিদ সাইফুল :
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়াদহ মোড়ে একটি বাসার ৩য় তলায় চলছে তরুন তরুনীর অনৈতিক কারবার। ওই বাসার ৩য় তলায় ঢুকলেই দেখা যাবে বোডিংয়ের মতো সাজানো সারি সারি বেডরুম।
জানা যায়, ধর্ম ত্যাগ না করে অবৈধ সম্পর্ক করে আসছে দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার নাহিদ ইসলাম (২০) ও হিন্দু ধর্মালম্বী লিজা সরেন (১৭)। তাদের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
নাহিদ ইসলাম কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ের স্বপ্ন রেস্টুরেন্টের মালিক শামীম ইসলামের কর্মচারী।
জানা যায়,গত ১৫ই ফ্রেব্রুয়ারী বাড়িতে না জানিয়ে দিনাজপুর থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্য রওনা দেয় লিজা। ১৭ দিন কুষ্টিয়া শহরস্থ একটি মেসে থাকার পর ধর্ম ত্যাগ বা বিয়ে না করেই হরিপুরের আশ্রয়দাতা রেস্টুরেন্টের মালিক শামিমের বাড়ির ৩য় তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে ওঠে গত ২ তারিখে।
নাহিদ ২২ কেজি গাঁজা সহ একটি মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
লিজা সরেনের দুলাভাই সুকলাল দাস বলেন,” ১৫দিন আগে লিজা আমাদের বলেছিল আমি ঢাকাতে আছি। পরে আর আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি ও আমাদের সকলের নাম্বার ব্লক করে রাখছে। বর্তমানে লিজার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই।
এ বিষয়ে বাসার একজন ভাড়াটিয়া বলেন, “গত ২ তারিখে তারা বিবাহিত বলে এই বাসার ৩য় তলায় ভাড়া নেয়। আমরা জানতাম না যে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে না করে এভাবে নিয়ে রেখে দিয়েছে”।
এ বিষয়ে নাহিদ বলেন,” আমরা এখনো বিয়ে করি নি তবে কয়েকদিনের মধ্যেই করবো। ওর বাসায় বলেছে জন্ম নিবন্ধন দিতে এখনো দেয়নি। ওটা পাইলে আমরা কোর্ট থেকে বিয়ে করবো “।
নাহিদের মালিক/বাসার মালিক শামীম বলেন, ” বিয়ে বাদে কেউ কি কারোর ভাড়া বাসায় উঠতে দেয়। আমার বাসায় অনেক ভাড়াটিয়া আছে তাদের কাবিননামা ও আছে। তবে তারা আইন অনুযায়ী লিগ্যাল আছে।”
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৬ মার্চ ২০২৪

Discussion about this post