Print Date & Time : 24 August 2025 Sunday 6:24 pm

হাওরে টিকার সংকট: বিপাকে মা ও শিশু

মো. নজরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জ হাওরের তিন উপজেলায় (ইটনা, মিঠামইন অষ্টগ্রাম) দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রকার টিকা সংকটে বিপাকে পড়েছে হাওরের মা ও শিশুরা।

তিনটি উপজেলার বিভিন্ন টিকাকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বৈরী আবহাওয়া কিংবা প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট দিনে প্রায় প্রতিটি টিকাকেন্দ্রেই শিশু কোলে মায়েদের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব হলেও টিকা না পেয়ে অধিকাংশ মা হতাশ হয়ে তাদের শিশুদের নিয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
এটা একদিনের চিত্র নয়। দীর্ঘ সাতমাস ধরেই এমন হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

তারা বলেন, আমরা সাংসারিক কাজকর্ম ফেলে বিগত শীতে কুয়াশায় ভিজে শিশুদের নিয়ে টিকা দিতে এসেছি, এখন প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে টিকা কেন্দ্রে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে জানতে পারি টিকা নেই। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতে আমাদের শিশুদের সময়মত টিকা দেওয়া মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে বলে আমরা খুবই হতাশ। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যকর্মীরা জানায়, দীর্ঘ সাতমাস ধরে পেন্টা (ডিপিটি, হেপ-বি, হিব) ও পিসিবি টিকার সংকট চলছে। দুই-তিন সপ্তাহ পরপর হাওরে যে টিকা আসে তা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

তাছাড়া আইপিভি টিকাও আমরা সময়মত পাচ্ছিনা। এজন্য শিশুদের শিডিউল অনুযায়ী টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।

সত্যতা স্বীকার করে, অষ্টগ্রামের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল শামীম বলেন, টিকার সংকট শুধু হাওর কিংবা অষ্টগ্রামে নয়, সারা দেশেই রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। অচিরেই টিকার সরবরাহ দ্রুত বাড়বে বলে আশা করছি।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, সরবরাহ না থাকায় মাঝখানে দু’মাস টিকা ছিলইনা, বর্তমানে এর সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আর এ সমস্য থাকবেনা।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//