হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া গ্রামে প্রায় চার শতাধিক আম্রপালি ও বড়ইয়ের চারা গাছ কেটে সাবার করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে ভুক্তভোগী পরিবারটি এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার রাতের কোনো এক সময় অথবা ভোর রাতের দিকে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনাটি ঘটায় বলে জানান তারা।
সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সেকান্দর মিয়ার সন্তান হাবিব, সাইফুল ইসলাম ও সংবাদকর্মী মহিন উদ্দীন ৩ একর জায়গায় বিভিন্ন ফল গাছের বাগান করেন। বাগান তৈরি করা, চারা রোপণ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঋণ করা দেড় থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মতো বাগানে গিয়ে দেখা যায় সোমবার দিবাগত রাতে অথবা ভোর রাতের দিকে কে বা কারা বাগানের প্রায় চার শত আম্রপালি ও আপেল বড়ই গাছের চারা উপড়ে ও কেটে তছনছ করে ফেলেছে। এতে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ২/৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান হাবিবুর রহমান এ প্রতিবেদক কে জানান, আমাদের সাথে কারো শত্রুতা নেই। প্রতিদিন আমি সকালে এবং বিকেলে দুইবার বাগানে এসে দেখে যায়। গতকাল বিকেলেও এসে দেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিদিনের মতো আজ মঙ্গলবার সকালে বাগানে এসে দেখি এই বাগানের সব আম ও বড়ই গাছের চারা উপড়ে ফেলা ও কাটা। গতবছরও আমাদের বাগানের প্রায় ৬ শতাধিক কলা গাছের চারা কে বা কারা কেটে ফেলেছিলো। কে এই সর্বনাশ করল বুঝতে পারছি না। এই বাগান করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়েছি আমরা। কীভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠব বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুুতি নিচ্ছি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এ প্রতিবেদক কে জানান, এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে মঙ্গলবার রাতেও ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রায় ৬ শতাধিক কলা গাছ কেটে ফেলেছিলো দুর্বৃত্তরা। তখন ওই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post