মো.আলাউদ্দীন,হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ হাটহাজারীতে প্রায় নয় বছরের অধিক সময় ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে চল্লিশ লাখ টাকা খরচে নির্মিত একটি সেতু।
একপাশে মাত্র ৩০০ মিটার এবং সেতু থেকে দক্ষিণ পাশের সেখল ফকিরহাট বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়কের সংস্কারের অভাবে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
ফলে উপজেলার মেখল ইউনিয়ন সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষকে কড়িয়ার দিঘীর পাড় হয়ে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কে উঠতে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
অথচ সেতুটির দুই পাশের সড়কটি যান চলাচল উপযোগী করা গেলে খুব সহজেই মেখল ফকিরহাট বাজার হয়ে এ সেতু ব্যবহার করে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং হাটহাজারী অক্সিজেন মহাসড়কে উঠা যাবে।
এতে হাটহাজারী পৌরসভার বাস স্টেশনের ও কলেজ গেইট এলাকার তীব্র যে যানজট সেটাও অনেকটা লাঘব হবে বলে মত স্থানীয়দের ।
এছাড়া আশেপাশের ভোগান্তির শিকার হওয়ারা বলেন, সময়ের পাশাপাশি অর্থেরও অপচয় হচ্ছে তাদের। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মেখল আজিজিয়া মজিদিয়া সড়কের সাথে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটির মহাসড়কের এ সংযোগ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, দুর্যোগ, ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গত ২০১৪- ২০১৫ অর্থ বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৎকালীন সরকারের আমলে মেখল ফকিরহাট-ফটিকা আব্দুল লতিফ সড়কের মরা ছরার উপর ৩৯ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
অথচ নির্মাণের নয় বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সেতুটি দিয়ে কোনো যানবাহনই চলাচল করা সম্ভব হয়নি। তবে কোনো রকমে পায়ে হেটে সেতু পেরিয়ে ছরার পাড় ধরে যাওয়া গেলেও এখন সেতুর উপর বিভিন্ন লাকড়ি জমিয়ে রাখার ফলে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি সেতুটি পরিদর্শনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় প্রতিদিন রাতে এ সেতুর উপর মদ,গাজা,ইয়াবাসহ জুয়ার আসর বসে যায়। তারা দ্রুত সমসয়ের মধ্যে সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করতে উভয় পাশের সংযোগ সড়ক সংস্কার করার জোর দাবী জানান।
হাটহাজারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ জানান, এ ব্যাপারে ইউএনও স্যারের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ওই এলাকার জনগণের সুবিধার্থে এ ব্যাপারে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Discussion about this post